১৯৭১ এর কালো অধ্যায় এর ঘটনা অনেকেরই জানা-পাকিস্তানে নির্বাচন হল শেখ মুজিবুরের দল একক সংখ্যা গরিষ্ঠতা পেয়ে প্রধান মন্ত্রীত্বের চেয়ারে বসতে যাবেন এমন সময় বন্দুক হাতে দাঁড়ালেন ইয়াহইয়াহ খান সাহেব - বন্দী হলেন শেখ মুজিবুর রহমান। শুরু হল অসির খেলা। খেলায় পরাজিত হয়ে লজ্জাজনক ভাবে আত্মসমর্পন করল বাঙালীর কাছে। প্রাণ ভিক্ষায় বেঁচে দিন যেতে না যেতে অসম্মানের গ্লানি ভুলে বসল। লিখেছেন ইসহাক মাদানী।
১৯৭১ এর কালো অধ্যায় এর ঘটনা অনেকেরই জানা-পাকিস্তানে নির্বাচন হল শেখ মুজিবুরের দল একক সংখ্যা গরিষ্ঠতা পেয়ে প্রধান মন্ত্রীত্বের চেয়ারে বসতে যাবেন এমন সময় বন্দুক হাতে দাঁড়ালেন ইয়াহইয়াহ খান সাহেব - বন্দী হলেন শেখ মুজিবুর রহমান। শুরু হল অসির খেলা। খেলায় পরাজিত হয়ে লজ্জাজনক ভাবে আত্মসমর্পন করল বাঙালীর কাছে। প্রাণ ভিক্ষায় বেঁচে দিন যেতে না যেতে অসম্মানের গ্লানি ভুলে বসল। ১৯৯৯ সালে পারভেজ মুশার্রাফ হোসেন সাহেব কারগিলে ভারতের সংগে ইঁদুর বিড়াল খেলা শুরু করে বিশ্বে নিন্দিত (condemned)হয়ে দাদার স্মরণাপন্ন হলেন, দাদার অভয় দানের কৃতজ্ঞতা স্বরূপ তালিবান বধে নিজ ভূমি ব্যবহারের অবাধ অনুমতি দিলেন। এ ছিল বন্দুক হাতে বুদ্ধি নাশা খেলা।২০১৮তে নির্বাচিত সরকার গদিতে বসলেন বটে তবে অসির মালিক নিরক্ষণে রাখলেন তাঁরে। ঘনিয়ে এল দু হাজার বাইশ সাল বড়দার তদারকিতে খেলা শুরু হল ইউক্রেনে। বড়দা চেয়ে ছিলেন মধ্যপ্রাচ্যের ধাঁচে অস্থির এলাকা গড়ে তুলে যেন রাশিয়ার তেল কুপ গুলি মধ্য প্রাচ্যের ধাঁচে ন্যাটোকে নিয়ে কাজে লাগাতে পারে। কিন্তু মৌচাকে ঢিল ছুঁড়ার অবস্থা হয়েছে। এদিকে মধ্যপ্রাচ্যের আমজনতা যারা প্রায় মুসলিম তারা ইরাক, সিরিয়া, লিবিয়া ও আফগানিস্তানের খেলা দেখতে দেখতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন। ফলে ওঁরা আপোস সমঝোতার দিকে এগুচ্ছেন। দাদার জন্য এটা আরও অস্বস্থিকর। এদিকে ইউক্রেন খেলা বেগতিক, সে সংগে চীন মাঝে সাজে দাদার বিরুদ্ধে কিছু বলে দিচ্ছে এ সব দেখে শুনে দু হাজার সালের পাকিস্তানের মুশার্রাফ হোসেনকে মনে পড়েছে দাদার কিন্তু সেখানে গদিতে রয়েছেন একজন ক্রিকেটার ব্যাটসম্যান। তাকে নিজ মতলবে টেস্ট করতেই শুনতে হল absolutely not বুঝে গেলেন —না, একে দিয়ে কাজ হবে না।
ব্যাট ওয়ালাকে ছাড়ো অসিওয়ালাকে ধরো। যেমন টোপ তেমনই কাজ-বাজওয়া সাহেব দাদাকে বললেন জো হুকুম জাঁহাপনা—ব্যাটওয়ালা বুঝতে না বুঝতেই উইকেট পড়ে যায়, স্বাভাবিকভাবেই যার হাতে ব্যাট ছিল, ব্যাট ছেড়ে ফিল্ডে এসে বল থ্রো করা শুরু করেন। সেই সংগে বাজওয়া সাহেবের নেপথ্য হরকত জনসম্মূখে তুলে ধরেন। জনসাধারন বুঝতে পারেন ফৌজ নেতা শাহবাজ শরিফের হাতে ব্যাট ধরিয়ে খেলতে নেমেছেন। বাজওয়া সাহেব দেখলেন তাঁর বয়স হয়েছে, আসেফ মুনির সাহেবকে ডেকে বললেন দেখুন শাহবাজ সাহেব ঠিক মত খেলতে না পারলে খেলাটা সামাল দেবেন। মোটেই রান হচ্ছে না দেখে আসেফ মুনির সাহেব অসি রেখে উইকেট ধরেছেন ; ফিল্ডার তো ফিল্ডিং করতেই আছেন। এ সব দেখে সেখানের জনতার ক্ষোভ আছড়ে পড়েছে দাদার অনুগত খেলোয়াড়দের উপর।দেখা যাচ্ছে তরুনদের সংগে মহিলা এবং শতোর্ধবয়সের বৃদ্ধ শুকনো রুটি কাপড়ে বেঁধে নিয়ে বেরিয়ে এসেছেন মুক্ত মনে দেশ গড়ার আন্দোলনে।পাকিস্তানের সেনাপ্রধানদের মানসিকতা যে যায় লঙ্কায়, সে হয় রাবন এর মত। সমঝদার ব্যক্তিগণ পাকিস্থানের রাজনীতিতে সেনা প্রধানদের হস্তক্ষেপ পছন্দ না করলেও মুখ খোলার সাহস পাননি। বাংলাদেশের আমজনতা ১৯৭১ সালে যা বুঝতে সক্ষম হন ৫২ বৎসর পর ২০২৩ সালে পাকিস্তানের আম জনতা হয়ত তা বুঝতে চলেছেন তবে পরিনতি সময়ই বলবে। এদিকে পাকিস্থানের বর্তমান সরকার তাঁদের বিরুদ্ধে জনতার রোষ সামাল দিতে না পেরে ভুলভাল বকতে শুরু করেছে, পড়সি দেশ ভারতের উসকানিতে না কি তার দেশের জনতা সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছেন। লজ্জা ঢাকার পথ না পেলে এরকমটা বকতে দেখা যায় অনেককেই। আমরা আশা করব পড়শি দেশ পাকিস্তানে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হোক। সে সংগে আমাদের দেশ ভারতের সংগে উত্তম পড়শি সুলভ সদাচারে আবদ্ধ হোক। ইহাই হচ্ছে দেশ ও দশের উন্নতির ও অগ্রগতির সঠিক পথ।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct