নিজস্ব প্রতিবেদক, হরিশ্চন্দ্রপুর, আপনজন: ‘NO ROAD,NO VOTE ‘শ্লোগান তুলে বেহাল রাস্তা সংস্কার ও পরিশ্রুত পানীয় জলের দাবিতে জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভে শামিল হলেন গ্রামবাসীরা। রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী তজমুল হোসেন এলাকায় ঢুকলে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বার করে দেওয়ার হুমকি দেয় বিক্ষোভকারীরা। সোমবার সকাল দশটা নাগাদ হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লকের ভিঙ্গোল গ্রাম পঞ্চায়েতের লক্ষণপুর বাস স্ট্যান্ডে মালদহের চাঁচল গামী ৮১ নং জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান তুলসীহাটা,ভিঙ্গোল ও রশিদাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের ৩০ টি বুথের প্রায় পাঁচ শতাধিক মানুষ। এদিন পথ অবরোধের জেরে কয়েক ঘণ্টা হরিশ্চন্দ্রপুর-চাঁচল রুটে যান চলাচল স্তব্ধ হয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ প্রশাসন ও বিডিও অনির্বাণ বসুর আশ্বাসে পথ অবরোধ তুলে নেয় বিক্ষোভকারীরা। গ্রামবাসীদের অভিযোগ,তুলসীহাটা,ভিঙ্গোল ও রশিদাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বিভিন্ন গ্ৰামে প্রায় ১৫ কিলোমিটার রাস্তা দুই দশক ধরে বেহাল অবস্থায় পড়ে আছে। স্থানীয় নেতা থেকে শুরু করে প্রশাসনিক দপ্তরে বারবার দাবি জানিয়েও কাজ হয়নি। এই বেহাল রাস্তাগুলোর জন্য সমস্যায় পড়েন নিত্য যাত্রী থেকে শুরু করে পড়ুয়ারা। লক্ষনপুর বাস স্ট্যান্ড থেকে পাড়ো ক্লাব পর্যন্ত ২কিলোমিটার রাস্তা,আবার লক্ষনপুর প্রাইমারী স্কুল থেকে কোনার মীর সারজেন গোডাউন পর্যন্ত ২কিলোমিটার রাস্তা, ঝিকোডাঙ্গা জাম গাছ মোড় থেকে ঝিকোডাঙ্গা অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টার পর্যন্ত ২কিলোমিটার রাস্তা সহ একাধিক রাস্তা কঙ্কালসার অবস্থায় পড়ে আছে। বর্ষার সময় ওই রাস্তাগুলো দিয়ে চলাচল করতে চরম অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয় বাসিন্দাদের। স্কুল,হাসপাতাল ও ব্যাংক সহ বিভিন্ন অফিস ও কাজে ওই রাস্তাগুলো দিয়েই প্রতিনিয়ত যাতায়াত করতে হয় এলাকাবাসীর। প্রায় বছর খানেক আগে পাকা রাস্তার দাবিতে আন্দোলনে নেমেছিলেন গ্রামবাসীরা। ব্লক প্রশাসন থেকে শুরু করে স্থানীয় নেতারা দ্রুত কাজ করার আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু এক বছর পেরিয়ে গেলেও ওই রাস্তাগুলো আজও সংস্কার হয়নি। বাসিন্দাদের আরও অভিযোগ,পথশ্রী প্রকল্পে ওই রাস্তাগুলো নেই। সেকারণেই পুনরায় আন্দোলনে নেমেছেন তাঁরা।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct