আপনজন ডেস্ক: কর্নাটকের নতুন মুখ্যমন্ত্রী এবং মন্ত্রিসভা বৃহস্পতিবার শপথ নেবেন বলে জানিয়েছে জাতীয় কংগ্রেস। জাতীয় কংগ্রেসের প্রধান মল্লিকার্জুন খারগে এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন। কংগ্রেস সমস্ত “সমমনা” দলকে শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ পাঠিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন তা নিয়ে আলোচনা করতে কংগ্রেস আজ তাদের বিধায়কদের একটি বৈঠক ডেকেছে। একদিকে কংগ্রেস লেজিসলেটিভ পার্টি (সিএলপি) মুখ্যমন্ত্রী বাছাইয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য কংগ্রেসের জাতীয় সভাপতির কাছে রেখে একটি প্রস্তাব পাঠিয়েছে এবং আশা করছে তাদের এই প্রস্তাব মেনে নেবে হাইকমান্ড। তবে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না বলে জানায়। যা হবে বিধায়কদের মতামত নিয়ে তবেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কর্নাটকের নবনির্বাচিত কংগ্রেস বিধায়করা রবিবার সন্ধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী পদের প্রার্থীর বিষয়ে তাদের মতামত প্রকাশকারী নেতাদের সাথে সরকার গঠনের বিষয়ে আলোচনা করতে বৈঠক করছেন।
বিদায়ী বিধানসভায় দলের নেতা সিদ্দারামাইয়া এবং কর্নাটক প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সভাপতি ডি কে শিবকুমার মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য শক্তিশালী দাবিদার। ২২৪সদস্যের বিধানসভার ১০ মে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে, কংগ্রেস ১৩৫টি আসন নিয়ে কর্নাটকে আবার ক্ষমতা অর্জন করেছে। যেখানে ক্ষমতাসীন বিজেপি এবং প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচডি দেবগৌড়ার নেতৃত্বাধীন জনতা দল যথাক্রমে ৬৬ এবং ১৯টি আসন পেয়েছে। বৃহস্পতিবার কংগ্রেসের পক্ষ থেকে কর্নাটকের সরকার গঠন মুখ্যমন্ত্রীর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের কথা জানায়। মুখ্যমন্ত্রীর নির্বাচনের দৌড়ে আটবারের বিধায়ক শিবকুমার এবং প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া উভয়েই মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার উচ্চাকাঙ্ক্ষা রাখছে। যদিও কংগ্রেস মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচন নিয়ে দলাদলিকে দূরে রাখার পক্ষপাতী। বিশেষ করে সিদ্দারামাইয়া এবং শিবকুমারের শিবিরের মধ্যে, যারা তাদের নেতাদের জন্য প্রকাশ্যে স্লোগান দিচ্ছে, কিন্তু কর্নাটকে সবাই ঐক্যবদ্ধ ভাবে লড়াই করেছে এবং নিশ্চিত করেছিল দলে যাতে কোনও ফাটল না আসে। সূত্র মারফত জানা যায় নব নির্বাচিত বিধায়কদের মতামত চাওয়া হবে এবং ফলাফলের উপর নির্ভর করে প্রয়োজন হলে তাদের নেতা নির্বাচন করতে ভোট দিতে বলা হতে পারে। বিধায়কদের মন বুঝতে বেঙ্গালুরুর সাংগ্রিলা হোটেলে বৈঠক ডাকা হয়। এআইসিসি সেই দায়িত্ব দিয়েছে মহারাষ্ট্রের প্রবীণ কংগ্রেস নেতা এআইসিসির সাধারণ সম্পাদক সুশীল কুমার শিন্ডে, রাজস্থানের নেতা জিতেন্দ্র সিং আলওয়ার ও একসময় মধ্যপ্রদেশের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা দীপক বাবারিয়াকে। এই বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন, সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে না। বিধায়কেরা সেই দায়িত্ব কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের ওপর ছেড়ে দিতে পারেন। সভায় এমন একটি প্রস্তাব নেওয়া হতে পারে। তবে জাতীয় কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খার্গের পরামর্শে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানা যায়।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct