আপনজন ডেস্ক: ম্যাচ শুরুর ১১ মিনিটের মধ্যেই দুই গোল। দুটোই ইন্টার মিলানের। সেই যে ধাক্কা খেল এসি মিলান, ৯০ মিনিটের ম্যাচে আর ঘুরে দাঁড়ানো হলো না ওদের। পারল না একটা গোলও শোধ করতে। সান সিরোতে তাই চ্যাম্পিয়নস লিগের দ্বিতীয় সেমিফাইনালের প্রথম লেগটা ইন্টার মিলান জিতল ২-০ গোলেই। মিলানের হোম ম্যাচ ছিল এটা। একই মাঠে ফিরতি লেগ আগামী মঙ্গলবার (১৬ মে)। ইস্তাম্বুলে ফাইনালের টিকিট পেতে হলে ইন্টারের সেই হোম ম্যাচে অবিশ্বাস্য কিছুই করতে হবে মিলানকে। অন্যদিকে জিতলে, ড্র করলে, এমনকি এক গোলে হারলেও ইন্টারই চলে যাবে ফাইনালে। ইস্তাম্বুলের পথে ইন্টার কিছুটা এগিয়ে গেল, এটা এখন বলাই যায়।
ইউরোপিয়ান টুর্নামেন্টে দুই দলের পাঁচবারের দেখায় এই প্রথম এসি মিলানকে হারাল ইন্টার। আগের চার দেখায় দুবার জিতেছিল মিলান, অন্য দুটি ড্র হয়েছিল। আজ ম্যাচের ৮ মিনিটে এসি মিলান যখন প্রথম গোলটা খেল, ডাগ আউটে কোচ স্তেফানো পিওলি রাগে গজগজ করছিলেন। ইন্টার মিডফিল্ডার হাকান চালহানোলুর কর্নার থেকে আসা বলে বাঁ পায়ে সাইড ভলি করলেন এডিন জেকো। এসি মিলান গোলরক্ষক মাইক মাইনান চেয়ে চেয়ে শুধু বল জালে যেতে দেখলেন। সেই ধাক্কা সামলে ওঠার আগেই ১১ মিনিটে ইন্টারের দ্বিতীয় গোল। এবার সেই বাঁ পাশ থেকে ফেদেরিকো ডিমার্কোর দুর্দান্ত পাস, লাওতারো মার্তিনেজ দারুণ এক ডামি করে বলে যেতে দিলেন হেনরিখ মাখিতারিয়ানের পায়ে। ইন্টারের আরমেনিয়ান মিডফিল্ডারের শট আবারও মাইনানকে বোকা বানিয়ে এসি মিলানের জালে। এবার আর রাগ নয়, হতাশায় যেন ভেঙ্গে পড়লেন পিওলি। পড়ারই কথা। ম্যাচের শুরু থেকে এত ছন্নছাড়া লাগছিল এসি মিলানকে। সর্বশেষ পাঁচ-ছয়টা ম্যাচে এত দারুণ খেলেছে মিলানের রক্ষণ, কিন্তু আজ যে ওদের খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছিল না। ডিফেন্ডাররা এলোমেলো দৌড়েছেন, মার্ক করতে পারছিলেন না ঠিকঠাক। সেই সঙ্গে ওদের মাঝমাঠ প্রায় ফাঁকা করিডোর বানিয়ে দিয়েছে ইন্টার মিলানকে।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct