সেক আনোয়ার হোসেন, তমলুক, আপনজন: নন্দীগ্রামে বাস ও ট্রেকারের মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রেকার কে পিছন থেকে ধাক্কা আরও একটি বাসের। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে নন্দীগ্রামের ভেটুরিয়ার ঠাকুর চক এলাকায়। এখনও পর্যন্ত দু-জনের মৃত্যুর খবর জানা যাচ্ছে।গুরুতর আহত হয়েছেন আরও অনেকে।বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক তাঁদের প্রত্যেককে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে এদিনের ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের তরফে ক্ষতিপূরণও ঘোষণা করা হয়েছে। তৃণমূল নেতা শেখ সুফিয়ান জানিয়েছেন,মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন নিহতদের পরিবারকে আড়াই লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে এবং গুরুতর আহতদের ৫০ হাজার করে ও বাকি আহতদের ৩০ হাজার টাকা করে চিকিত্সার খরচ দেওয়া হবে।বুধবার বেলা দেড়টা নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। নন্দীগ্রাম-ফটকের একটি যাত্রিবাহী বাস নন্দীগ্রামের দিকে যাচ্ছিল। সেই সময় উল্টো দিক থেকে একটি যাত্রিবাহী ট্রেকার আসছিল। বাস এবং ট্রেকারের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। পিছন থেকে অন্য একটি বাস এসে সজোরে ধাক্কা মারে ট্রেকারটিকে। এর ফলে ট্রেকারটি মুচড়ে ঢুকে যায় বাসের নীচে। আটকে যান যাত্রীরা। বেশ কয়েক জন গুরুতর আহত বলে হয়,পুলিশ সূত্রে জানা যায়,মৃত যাত্রীর নাম সৌম্যদীপ জানা (১৮)। বাড়ি নন্দীগ্রামের হরিপুরে।মৃত ট্রেকার চালকের নাম সঞ্জয় বাগ (৪০), তিনি চণ্ডীপুরের বাসিন্দা। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পর ঘটনাস্থলে যান জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি,পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সহ সভাপতি সেখ সুফিয়ান,তমলুকের বিধায়ক সৌমেনকুমার মহাপাত্র। সিপিআইএম নেতা পরিতোষ পট্টনায়েক আহতদের দেখতে যান।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct