টপি লস্কর, গোসাবা, আপনজন: ক্যানিং মহকুমা হাসপাতাল চত্বরে অমানবিকতার নিদর্শন দেখলো সাধারণ মানুষ।প্রায় দুঘন্টা চিকিৎসা পরিষেবা না পেয়ে হাসপাতালের বাইরে পড়ে রইল দুর্ঘটনাগ্রস্থ মুমূর্ষ এক মানসিক ভারসাম্যহীন রোগী।পরে দুই সাংবাদিক বান্টী মুখার্জী,সুভাষ চন্দ্র দাশের তৎপরতায় এর স্থানীয় মাতলা ২ পঞ্চায়েত প্রধান উত্তম দাস ও ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের সহকারী সুপার শুভজিত ঘোষের উদ্যোগে চিকিৎসা শুরু হয় মুমূর্ষ রোগীর।স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে মানসিক ভারসাম্যহীন যুবক মোবারক সেখ।তার বাড়ি বারুইপুর থানার অন্তর্গত দক্ষিণ রামধারী এলাকায়।মঙ্গলবার রাত ৭ নাগাদ শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার ক্যানিং লাইনের ঘুটিয়ারীশরীফ-বেতবেড়িয়া ষ্টেশনের মধ্যবর্তী এলাকায় চলন্ত ডাউন ট্রেন থেকে পড়ে যায় ওই যুবক।গুরুতর জখম অবস্থায় পড়ে থাকে। ঘটনার খবর পেয়ে রেলপুলিশ ওই যুবক কে উদ্ধার করে। চিকিৎসার জন্য প্রথমে ঘুটিয়ারীশরীফ হাসপাতালে নিয়ে যায়।সেখানে ওই যুবকের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন চিকিৎসকরা। রেলপুলিশ ওই যুবক কে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায় চিকিৎসার জন্য।অভিযোগ ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা চলাকালীন রেলপুলিশ চলে যায়।এরপর ওই যুবক হাসপাতালের বাইরে প্রায় দুঘন্টা পড়ে থাকে। এমন ঘটনায় মানবিক দুই সাংবাদিক দুর্ঘটনাগ্রস্ত যুবকের কাছ থেকে বাড়ির ঠিকানা জেনে মঙ্গল হালদার নামে এক যুবকের দ্বারা রাত প্রায় ১১ টা নাগাদ দুর্ঘটনাগ্রস্ত যুবকের বাড়িতে খবর দেওয়া হয়।ততক্ষণে দুই সাংবাদিকের কাছ থেকে খবর পেয়ে মাতলা ২ প্রধান উত্তম দাস ও ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের সহকারী সুপার শুভজিত ঘোষের উদ্যোগে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। শুরু হয় চিকিৎসা।রাত প্রায় ১২ নাগাদ ওই যুবকের বাড়ির লোকজন হাসপাতালে পৌঁছায়।বর্তমানে ওইর যুবক আশাঙ্কাজনক অবস্থায় ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct