নিজস্ব প্রতিবেদক, কলকাতা, আপনজন: দ্বাদশের বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীদের শেষ ভরসা এখন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে মেধাতালিকা ভুক্ত হয়েও নিয়োগপত্র হাতে না পাওয়ার যন্ত্রণা বুকে নিয়েই কলকাতার রাস্তায় রাস্তায় মিছিল কিম্বা শান্তিপূর্ণ ভাবে ধর্ণায় বসে কেটে যাচ্ছে নবম -দ্বাদশের বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীদের মূল্যবান দিন গুলি। আর কত দিন? কবে তারা নিয়োগপত্র হাতে পাবে? প্রশ্ন বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীদের। ২০১৬ সালে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগের পরীক্ষা গৃহীত হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ স্কুল সার্ভিস কমিশন কর্তৃক। উক্ত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে মেধাতালিকা ভুক্ত প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার যোগ্য চাকরি প্রার্থীগণ এখনো নিয়োগপত্র হাতে পায়নি। ফলে ২০১৬ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত নিয়োগপত্র না পাওয়া নবম-দ্বাদশের বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীদের একটি বড় অংশ যুব ছাত্র অধিকার মঞ্চের ব্যানারে দফায় দফায় আন্দোলনের চালিয়ে যাচ্ছেন। এখন ধর্মতলা গান্ধীমূর্তির পাদদেশে বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীগণ অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্ণারত। যদিও রাজ্যের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী বঞ্চিত যোগ্য চাকরি প্রার্থীদের একাধিক বার নিয়োগের আশ্বাস দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাসের দিকে তাকিয়ে কয়েক বছর ধরে দিন গুনছেন বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীগণ সহ তাদের পরিবার গুলি। বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীরা জানিয়েছেন যে বিগত কয়েক বছর ধরে তাদের ভীষণ অসহায় ভাবে দিন-রাত অতিবাহিত হচ্ছে। তাদের ন্যায্য চাকরি আটকে রয়েছে। সেই ন্যায্য চাকরি ফিরিয়ে আনতে তারা জীবন বাজি রেখে ৭৮৬ দিন ধরে ধর্ণা দিচ্ছেন, রাস্তায় পড়ে রয়েছেন। ধর্ণারত চাকরি প্রার্থীদের মুখ পানে তাকালেই এক পলকেই বোঝা যায়, তারা কত অসহায়। তারা করুণ দৃষ্টিতে, শুকনো বদনে নিয়োগপত্র হাতে পাওয়ার অপেক্ষায় দিন গুনছেন প্রতিনিয়তই।
ধর্ণারত চাকরি প্রার্থী মইদুল ইসলাম, সুদীপ মন্ডল, কামরুজ্জামান বিশ্বাস, সফিজুল হক, খাইরুল ইসলাম, কাজল দাস, রাজেন্দ্র কুমার মন্ডল, পুতুল কুমার দে, জাকির হোসেন, রাকিবুর সেখ, মজিবুর রহমান, কৈলাশ লেট, পিনাকী ঘোষ, সুবোধ হালদার, তরুণ কুমার ঘোষ, তপন কুমার মাহাত, গোবিন্দ বিশ্বাস, চিরঞ্জিত প্রামাণিক, ইপ্সিতা বোস, দেবিকা দাস, সোমা রায় বিশ্বাস, সম্পা হালদার, সংযুক্তা মন্ডল, টুসি দে, পুতুল কুমার দে, শুভাষিস গাইন, সাথী কর্মকার, মামণি বসাক, চন্দ্রারাণি পাল, সঞ্চিতা শর্মা, রাজশ্রী, শিখা, জয়া খানরা জানিয়েছেন যে, ধর্ণা মঞ্চে নেই পর্যাপ্ত পানীয় জলের ব্যবস্থা, নেই মহিলা টয়লেটের ব্যবস্থাও। তবুও অর্ডিনেটর সুদীপ মন্ডল জানিয়েছেন যে “ বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীদের শেষ ভরসা এখন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। আমরা মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর জরুরিকালীন হস্তক্ষেপ চাইছি। আমাদের জীবন থেকে অতি মূল্যবান দিন গুলি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct