আপনজন: কয়েক মাস আগেই জম্মু-কাশ্মীরে সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল লিথিয়ামের বিশাল খনি। লিথিয়ামের আরেক নাম হল ‘সাদা সোনা’। এবার রাজস্থানে পাওয়া গেল আরেকটি লিথিয়ামের খনি। জিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার (জিএসআই) কর্মকর্তারা বলছেন, নতুন খনিতে যে পরিমাণ লিথিয়াম রয়েছে, তা দিয়ে দেশের প্রায় ৮০ শতাংশ চাহিদাই পূরণ করা সম্ভব। সেটি হলে মূল্যবান ধাতুটির জন্য আর চীনের ওপর অতিনির্ভরশীল থাকতে হবে না তাদের।স্মার্টফোন, ল্যাপটপ, বৈদ্যুতিক গাড়িতে ব্যবহৃত ব্যাটারির তৈরির প্রধান উপকরণ এই লিথিয়াম। বিশ্বের মোট লিথিয়ামের অর্ধেকেরও বেশি পাওয়া যায় দক্ষিণ আমেরিকার মাত্র তিনটি দেশ– আর্জেন্টিনা, বলিভিয়া এবং চিলিতে। ফলে আধুনিক প্রযুক্তির অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই ধাতুর সরবরাহ নিশ্চিত করতে ওই তিনটি দেশের ওপর নির্ভরশীল বেশিরভাগ দেশ। মাস চারেক আগে দেশে প্রথমবারের মতো লিথিয়াম খনির সন্ধান পাওয়া যায় জম্মু-কাশ্মীরে। ধারণা করা হচ্ছে, ওই খনিতে ৫৯ লাখ টন লিথিয়াম রয়েছে। রাজস্থানে সন্ধান পাওয়া খনিতে মজুত লিথিয়ামের পরিমাণ এখনো নিশ্চিত করা হয়নি। তবে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এর আকার জম্মু-কাশ্মীরের খনির চেয়ে অনেক অনেক বড়। ভারতের রাস্তায় চলাচলকারী যানবাহনের ৭০ শতাংশেরও বেশি হল টু-হুইলার, প্রধানত স্কুটার ও মোটরসাইকেল। তিন চাকার অটোরিকশা চলাচল করে আরও ১০ শতাংশ। গত বছর ভারতে নিবন্ধিত বৈদ্যুতির গাড়ির ৯২ শতাংশই ছিল এই দুই ক্যাটাগরির। ভারত সরকারের লক্ষ্য, ২০৩০ সালের মধ্যে দেশটিতে যাত্রীবাহী গাড়ি বিক্রয়ের ৩০ শতাংশ, বাণিজ্যিক গাড়ির ৭০ শতাংশ এবং দুই ও তিন চাকার গাড়ির ৮০ শতাংশই হবে বিদ্যুৎচালিত।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct