আপনজন ডেস্ক: এবিপি নিউজের সি-ভোটার সমীক্ষা অনুযায়ী কর্ণাটকের বিধানসভা নির্বাচনের চূড়ান্ত জনমত ইঙ্গিত দেয় যে কংগ্রেস এখনও মেরু অবস্থানে রয়েছে, যদিও বিজেপি প্রচারের শেষ পর্যায়ে ব্যবধান কিছুটা কমিয়ে নিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। রাজ্যের প্রধান অঞ্চলগুলিতে ডেমোগ্রাফিক এবং অন্যান্য বিভাগের সমীক্ষার তথ্যবিশ্লেষণ করে দেখা যায় যে ১০ মে নির্বাচনে কংগ্রেস ১১০ থেকে ১২২ টি আসন পেতে পারে। কর্ণাটক বিধানসভায় ২২৪ জন সদস্য রয়েছে এবং একটি সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠ সরকার গঠনের জন্য ১১৩ জনের সংখ্যা প্রয়োজন।কংগ্রেস ৪০.২ শতাংশ ভোট পাবে বলে অনুমান করা হচ্ছে, যা ২০১৮ সালের পূর্ববর্তী বিধানসভা নির্বাচনের তুলনায় ২.২ শতাংশ বেশি। রাজ্যে বর্তমানে বিজেপি সরকার ৭৩ থেকে ৮৫টি আসন পেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ২০১৮ সালে বিজেপি জিতেছিল ১০৪টি আসন। যদিও এই বিধানসভা নির্বাচনেও বিজেপির ভোট শেয়ার ৩৬ শতাংশ অর্থাৎ পূর্বের মতো একই থাকবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। সি-ভোটার সমীক্ষা রিপোর্ট অনুযায়ী আগের রাউন্ডগুলির তুলনায়, আসন এবং ভোট ভাগ উভয়ক্ষেত্রেই উন্নতি দেখা দিয়েছে। অন্যদিকে জেডি (এস) ২১ থেকে ২৯ টি আসন পেতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। ২০১৮ সালে তারা জিতেছিল ৩৭টি আসন। জেডি (এস) ১৬.১ শতাংশ ভোট পাবে, যা ২০১৮ সালের নির্বাচনের তুলনায় প্রায় ২ শতাংশ কম।
কর্ণাটক বিধানসভায় ৩২ জন বিধায়ক ও বৃহত্তর বেঙ্গালুরু অঞ্চল বাদে, রাজ্যের অন্যান্য সমস্ত অঞ্চলে কংগ্রেস বিজেপির চেয়ে বেশি আসন পেতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। শুধু তাই নয় এই সমীক্ষা রিপোর্ট অনুযায়ী জেডিএসের শক্ত ঘাঁটি পুরাতন মহীশূর অঞ্চলে বিজেপি ২০১৮ সালের ১৭ শতাংশ থেকে এবার ২৫ শতাংশেরও বেশি ভোট পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কিন্তু এর ফলে ত্রিকোণ লড়াই হবে। যা কংগ্রেসকে এগিয়ে যেতে সাহায্য কর বলে মনে করা হচ্ছে। আগামী ১০ মে এক ধাপে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং ১৩ মে ফলাফল ঘোষণা করা হবে। ১০ মে কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনের প্রচার সোমবার সন্ধ্যায় শেষ হবে। নির্বাচনী প্রচারণা শেষ পর্যায়ে রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং কংগ্রেসের জাতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে কর্ণাটকবাসীর মনোযোগ আকর্ষণের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছেন। রাজ্যের প্রধান রাজনৈতিক দল বিজেপি, কংগ্রেস এবং জেডিএস দাবি করে যে জনগণ তাদের সমর্থন করবে। বিজেপি ফিরে আসার আশা করছে, অন্যদিকে কংগ্রেস দাবি করছে যে তারা নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গঠন করবে এই বিধানসভা নির্বাচনের। জেডি(এস)-এরও একই দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে। মৌলিক বিষয়গুলি ছাড়াও, দাবি এবং বিবৃতির উপর ভিত্তি করে কিছু রাজনৈতিক ইস্যু উত্থাপিত হয়েছে। এর মধ্যে একটি হল বজরং দল এবং বজরং বালির ইস্যু। কংগ্রেস তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে বজরং দলের মতো সংগঠনগুলিকে নিষিদ্ধ করার কথা বলেছে, যার জবাবে বিজেপি বজরং দলকে বজরং বালির দিকে ঘুরিয়ে দিয়েছে।বিজেপি অভিযোগ করেছে যে কংগ্রেস প্রথমে শ্রী রামকে তালাবন্ধ করে রেখেছিল এবং এখন বজরং বালিকে অপমান করছে। একই সঙ্গে বিজেপি সরকারকে ৪০ শতাংশ কমিশন সরকার বলে আক্রমণ করছে কংগ্রেস। সর্বোপরি, বিজেপি রাজ্যে ক্ষমতায় ফিরবে নাকি কংগ্রেস দক্ষিণের এই দুর্গটি জয় করবে, চূড়ান্ত জনমত সমীক্ষায় জনগণ তাদের মতামত জানিয়ে দিয়েছে।নির্বাচনের চার দিন আগে (৬ মে) এবিপি সি ভোটার সমীক্ষার তথ্য প্রচার করা হয়। এবিপি নিউজ এই সি-ভোটার সমীক্ষার জন্য গত ১২ সপ্তাহে ৭৩ হাজার ৭৭৪ জনের সাক্ষাৎকার নিয়েছে। ২২৪টি আসনের সবকটিতেই এই সমীক্ষা চালানো হয়।এই সমীক্ষা অনুযায়ী আপাত দৃষ্টিতে এই বিধানসভা নির্বাচনে জাতীয় কংগ্রেস কর্নাটকে এগিয়ে আছে বর্তমান বিজেপি সরকারের থেকে। কংগ্রেস ৪০.২ শতাংশ ভোট পাবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। এই বিধানসভা নির্বাচনেও বিজেপির ভোট শেয়ার ৩৬ শতাংশ থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে। এবিপি নিউজ এর এই -সি-ভোটার সমীক্ষা রিপোর্ট অনুযায়ী কর্নাটকে বড় ব্যবধানে এগিয়ে কংগ্রেস। যদিও ১০ই মে ভোটের পর ১৩ই মে নির্বাচনের ফল ই শেষকথা বলবে কে এই বিধানসভা নির্বাচনে কর্নাটকে সরকার গঠন করবে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct