আপনজন ডেস্ক: তিন বছরেরও বেশি সময় পরে, ভাইরাসটি বিশ্বব্যাপী আনুমানিক ৭৬৪ মিলিয়ন কেস সৃষ্টি করেছে এবং প্রায় ৫ বিলিয়ন মানুষ ভ্যাকসিনের কমপক্ষে একটি ডোজ পেয়েছে। গত ৫ মে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানায়, কোভিড-১৯ এখন আর বৈশ্বিক জরুরি অবস্থা হিসেবে বিবেচিত হবে না, যা একসময় অকল্পনীয় লকডাউনের সূত্রপাত কারী। বিধ্বংসী করোনাভাইরাস মহামারীর প্রতীকী সমাপ্তি হল, বিশ্বব্যাপী অর্থনীতিকে বিপর্যস্ত করে তোলে এবং বিশ্বব্যাপী কমপক্ষে ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু ঘটায়। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যে সাম্প্রতিক সংক্রমণবৃদ্ধির কথা উল্লেখ করে ডব্লিউএইচও বলেছে, জরুরি অবস্থা শেষ হয়ে গেলেও মহামারী শেষ হয়নি। জাতিসংঘের স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, এখনও প্রতি সপ্তাহে হাজার হাজার মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রিয়েসুস বলেন, ‘আমি আশা করছি, কোভিড-১৯ কে বৈশ্বিক স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা নয়। তার মানে এই নয় যে কোভিড-১৯ শেষ হয়ে গেছে। ২০২০ সালের ৩০ জানুয়ারি জাতিসংঘের স্বাস্থ্য সংস্থা যখন করোনাভাইরাসকে প্রথম আন্তর্জাতিক সংকট হিসেবে ঘোষণা করে, তখনও এর নাম করণ করা হয়নি কোভিড-১৯ এবং চীনের বাইরে বড় ধরনের কোনো প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়নি।তিন বছরেরও বেশি সময় পরে, ভাইরাসটি বিশ্বব্যাপী আনুমানিক ৭৬৪ মিলিয়ন কেস সৃষ্টি করেছে এবং প্রায় ৫ বিলিয়ন মানুষ ভ্যাকসিনের কমপক্ষে একটি ডোজ পেয়েছে। বৃহস্পতিবার একটি বিশেষজ্ঞ দল ডাকার পর শুক্রবার ডব্লিউএইচও তাদের সর্বোচ্চ মাত্রার সতর্কতা কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাই একমাত্র সংস্থা যা বিশ্বে মহামারী মোকাবেলায় বিশ্বের প্রতিক্রিয়া সমন্বয় দায়িত্ব পালন করে।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct