অমরজিৎ সিংহ রায়, বালুরঘাট, আপনজন: ‘ইডি সিবিআই লাগিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসকে দমাতে পারেনি! আমার গলা কেটে দিলেও তৃণমূল কংগ্রেস জিন্দাবাদ, আর জয়বাংলা বেরোবে। আত্মসমর্পণ আমরা করবো না, মাথা আমরা নত করব না, মেরুদন্ড আমরা বিক্রি করব না। মোদি বলছে হয় আমাকে ভোট দাও, নয় তো তোমার সব টাকা বন্ধ করে দেব! আমরা বলছি এটা আমাদের অধিকারের টাকা। তোমার পৈত্রিক সম্পত্তি নয়। ’ পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ‘তৃণমূলে নব জোয়ার’ নামক কর্মসূচির অংশ হিসেবে মঙ্গলবার দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় আসে এভাবেই কেন্দ্রীয় সরকারকে বাক্য বানে আক্রমণ করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলে নব জোয়ারের অষ্টম দিনে দক্ষিণ দিনাজপুরে প্রথমে হরিরামপুর হাইস্কুল মাঠে জনসভা করেন তিনি। জনসভায় ভাষণ দেওয়ার সময়, দলের সাধারণ সম্পাদক বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদারকে কড়া ভাষায় বিঁধলেন। ভারতীয় জনতা পার্টির রাজ্য সভাপতি কে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন “এখানকার মানুষ কি আমাকে এমন একটি উদাহরণ দেখাতে পারবেন যেখানে সুকান্ত মজুমদার, উন্নয়ন নিয়ে বালুরঘাটের অন্যান্য বিজেপি নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন? এককভাবে করা সভাগুলি ছেড়ে দিন। উনি এরকম উদাহরণ দিতে পারবেন যেখানে দক্ষিণ দিনাজপুরের মানুষের জন্য কেন্দ্র অন্তত ১০টি উন্নয়নমূলক পদক্ষেপ নিয়েছে?”। প্রতিহিংসামূলক রাজনীতি করার জন্য বিজেপির নিন্দা করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেছেন, “আমি বিজেপি নেতাদের উদ্দেশ্যে বলছি তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে রাজনৈতিকভাবে লড়াই করতে। গরিব মানুষকে হয়রানি করে নয়। আপনারা (বিজেপি) আমাকে যত খুশি গালমন্দ করতে পারেন, কিন্তু আপনাদের জনগণের পাওনা ছেড়ে দিতে হবে’’। হরিরামপুরে সভা সেরে এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় পতিরামের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। সেখানে খাঁপুরে তেভাগা আন্দোলনের শহীদ স্মৃতিস্থল পরিদর্শনের সময়, তেভাগা আন্দোলনের যাঁরা শহীদ হয়েছেন তাঁদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছেন। এই আলোচনাসভা চলাকালীন, ওই পরিবারগুলি আবেদন করা বাড়ি না পেয়ে তাঁদের হতাশা প্রকাশ করেন। অভিষেক ওই ১৪টি পরিবার, যাঁদের সঙ্গে তিনি এদিন দেখা করেছেন, তাঁদের ৫০,০০০ টাকা করে আর্থিক সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন। এরপরেই তপনে একটি সভা করেন তিনি। সেই সভা স্থল থেকে তিনি বলেন, ‘বাংলায় বিজেপি সরকার হেরেছে তাই টাকা আটকে রেখেছে। বাংলা টাকা জোরজবস্তি করে আটকে রেখেছে। সেই কারণে আগামী দিনে আমরা দিল্লির বিরুদ্ধে এই লড়াইকে তীব্রতর করতে মানুষের কাছে যাচ্ছি। আপনার পঞ্চায়েতে যোগ্য প্রার্থীকে চিহ্নিত করতে না পারলে আগামী দিনে এই দিল্লির বিরুদ্ধে এই লড়াইকে সর্বাত্মক করা সম্ভব হবে না। আর এটা সম্ভব না হলে বাংলাকে এরা আবার নিপীড়িত, লাঞ্ছিত, বঞ্চিত করে রাখবে। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন তিনি ক্ষমতায় এলে লক্ষীর ভান্ডার দেবে। দুই বছরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে প্রায় ৩৭ হাজার কোটি টাকা ডাইরেক্ট ব্যাংক ট্রান্সফার করে মহিলাদের একাউন্টে দিয়েছেন কারোর কাছে এর জন্য হাত পাতেন নি। এই টাকায় দশ পয়সাও কেন্দ্র সরকারের অবদান নেই। ’
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct