দেবাশীষ পাল, মালদা, আপনজন: ব্লকের প্রাক্তন ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিকের নামাঙ্কিত সভাকক্ষের উদ্বোধন করতে এসে ব্লক এবং পঞ্চায়েতের আধিকারিক ও জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠক সারলেন জেলাশাসক। কাজের খতিয়ান নিলেন বিভিন্ন পঞ্চায়েতের কাছে। সেই বৈঠকেই এলাকার বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী বেহাল রাস্তা দ্রুত নির্মাণের নির্দেশ দিলেন বিডিওকে। তহবিলে টাকা থাকা সত্বেও খরচ না হওয়াই জেলা আধিকারিকরা ধমক দিলেন পঞ্চায়েত প্রধানদের। দ্রুত সমস্ত বকেয়া কাজ মেটানোর নির্দেশ দেওয়া হল। মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লকে কে সি দাস কক্ষের উদ্বোধন করতে আসেন মালদার জেলাশাসক নিতিন সিংহানিয়া। উল্লেখ্য কে সি দাস এক সময় এই ব্লকেরই বিডিও ছিলেন। কক্ষ উদ্বোধনের পর ব্লক দপ্তরে প্রশাসনিক বৈঠক সেরে নেন জেলাশাসক। উপস্থিত ছিলেন হরিশচন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক অনির্বান বসু, হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক বিজয় গিরি, চাঁচল মহকুমা শাসক কল্লোল রায়, হরিশ্চন্দ্রপুর বিধানসভার বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী তাজমুল হোসেন সহ ব্লক এবং পঞ্চায়েত স্তরের আধিকারিক ও জন-প্রতিনিধিরা। এই বৈঠকে মন্ত্রী তাজমুল হোসেন হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লকের অন্তর্গত লতাসি গ্রামের রাস্তা দ্রুত নির্মাণের নির্দেশ দেন বিডিও কে। এলাকার বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রীকে বলতে শোনা যায় রাস্তার দূরবস্থার কথা। তিনি বলেন ওই গ্রামের রাস্তা এতটা খারাপ আমরা যেতে পারছি না। এলাকাবাসীর বিক্ষোভের মুখে পড়তে হচ্ছে। দ্রুত ওই রাস্তার কাজ করান। এমন ভাবেই বিডিও কে নির্দেশ দেন মন্ত্রীমশাই। এছাড়াও আরো বেশ কয়েকটি রাস্তার কাজ দ্রুত করার নির্দেশ দেন তিনি। ব্লক সূত্রের খবর মে মাসে সব গুলো কাজ সম্পূর্ন হয়ে যাবে। এদিকে হরিশ্চন্দ্রপুরের দুইটি ব্লকেরই বিভিন্ন পঞ্চায়েতে ১ কোটির অধিক টাকা রয়েছে তহবিলে। কিন্তু খরচ হয়নি। সেই নিয়ে প্রধানদের ধমক দেন জেলা আধিকারিকরা।
জেলাশাসক নিতিন সিংহানিয়া বলেন, আজ হরিশ্চন্দ্রপুরে দুইটি ব্লকের আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করলাম। এখানে বেশির ভাগ জায়গায় কাজ হয়ে গেছে। যেখানে হয়নি দ্রুত করতে বলা হয়েছে। জলসঙ্কটের ব্যাপার নিয়েও আলোচনা হয়েছে। বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী তাজমুল হোসেন বলেন, জেলাশাসকের নেতৃত্বে বৈঠক হলো। সব এলাকায় প্রচুর উন্নয়নের কাজ হয়েছে। রাস্তার যেগুলো কাজ বাকি পথশ্রী প্রকল্পে সেগুলিও হচ্ছে। দ্রুত কাজ শেষ করতে বলা হয়েছে। হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকাতে বারবার বিভিন্ন পঞ্চায়েত এলাকায় সামনে আসছে সাধারণ মানুষের বিক্ষোভ। কখনো রাস্তার দাবিতে, কখনো জলের দাবিতে আবার কখনো দুর্নীতির বিরুদ্ধে। সামনে আসছে শাসকের অভ্যন্তরিণ সংঘাত। এই আবহে প্রশাসনিক বৈঠকে দ্রুত কাজ শেষ করার বার্তা দিয়ে পঞ্চায়েত ভোটের আগে মানুষের ক্ষোভ প্রশমন করতে চাইছে রাজ্য সরকার। এমনটাই মত ওয়াকিবহল মহলের।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct