আপনজন: রাহুল গান্ধীর মানহানির মামলার শুনানি হবে ২ মে জানালো গুজরাট হাইকোর্ট। প্রবীণ আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি আদালতকে বলেন, বিচার প্রক্রিয়াসম্পর্কে ‘অত্যন্ত গুরুতর বিকৃত কারণের’ কারণে রাহুল গান্ধীকে ফৌজদারি মানহানির মামলায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।ফৌজদারি মানহানি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় সুরাট আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর আবেদনের চূড়ান্ত শুনানির জন্য ২৯ এপ্রিল দিন ধার্য করেছে গুজরাট হাইকোর্ট।রাহুলগান্ধীর পক্ষে আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি আদালতকে বলেন, “অত্যন্ত গুরুতর কয়েকটি কারণ” রয়েছে। পিটিআই-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, বিচারপ্রক্রিয়ার ফলে রাহুল গান্ধীকে ফৌজদারি মানহানির মামলায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়।গান্ধীর মানহানির মামলায় স্থগিতাদেশ চেয়ে সিংভি কয়েকটি মৌলিক কারণ তুলে ধরেন। প্রথমত তিনি বলেছিলেন যে ফৌজদারি মানহানির এই জাতীয় মামলায় তাঁর দোষী সাব্যস্ত হওয়ার উপর স্থগিতাদেশের জন্য গান্ধীর আবেদন প্রত্যাখ্যান করে আদালত ৩৮৯ ধারার পরিধিটি “পুনরায় লিখবে”।ফৌজদারি কার্যবিধি অর্থাৎ আপিল মুলতুবি বা দণ্ড স্থগিত বা আপিলকারীর জামিনে মুক্তি।দ্বিতীয়ত, কর্ণাটকের কোলারে রাহুল গান্ধীর দেওয়া বক্তব্যে কোনও চিহ্নিত শ্রেণীর লোকের কথা উল্লেখ করা হয়নি এবং বিবৃতিতে নীরব মোদী, মেহুল চোকসি এবং বিজয় মালিয়া নামে তিনজনের নাম উল্লেখ করা হয়নি।আগেই উল্লেখ করা হয়েছে যে বিচারটি বিঘ্নিত হয়েছে বলে যুক্তি দিয়ে তিনি বলেছিলেন যে সুরাট আদালত মাত্র ১০ মিনিটের জন্য শাস্তির দিকটি নিয়ে শুনানি করার পরে গান্ধীকে সর্বোচ্চ শাস্তি দিয়েছে।তিনি আরও বলেন, যে অপরাধের জন্য গান্ধীকে সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল তা গুরুতর ছিল না এবং এতে কোনও “নৈতিক স্খলন” জড়িত ছিল না।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct