আপনজন: বুধবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, মঙ্গলবার উত্তর দিনাজপুরজেলার কালিয়াগঞ্জে হিংসার সূত্রপাত বিহার থেকে আসা বিজেপি সমর্থিত গুন্ডাদের দ্বারা। গত সপ্তাহে কালিয়াগঞ্জে ১৭ বছর বয়সী এক কিশোরীর মৃত্যুর প্রতিবাদে স্থানীয়দের সহিংস বিক্ষোভের পর মঙ্গলবার তা কার্যত রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। উত্তেজিত জনতা একটি স্থানীয় পুলিশ স্টেশনে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং বিক্ষোভকারীরা পুলিশের কয়েকটি গাড়িও জ্বালিয়ে দেয়, যারা দাবি করে যে মেয়েটিকে ধর্ষণ ও হত্যা করা হয়েছে।গত ২১ এপ্রিল কালিয়াগঞ্জের একটি খাল থেকে ১৭ বছর বয়সী ওই কিশোরীর লাশ উদ্ধার করা হয়। তাকে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগ তুলে স্থানীয়রা রাস্তা অবরোধ করে এবং কয়েকটি দোকানে আগুন ধরিয়ে দেয়। নাবালিকার মৃত্যুর ঘটনায় চার জন এএসআইকে সাসপেন্ড করা হয়েছে, যাদের কে কিশোরীর দেহ টেনে নিয়ে যেতে দেখা গেছে। বুধবার রাজ্য সচিবালয় নবান্নে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী স্বীকার করেন যে কিছু পুলিশ কর্মী নির্যাতিতার দেহ টেনে নিয়ে গিয়ে সঠিক কাজ করেননি, যার জন্য চার এএসআইকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। তবে মঙ্গলবার বিহার থেকে আসা কিছু গুন্ডা যেভাবে থানায় হামলা চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে, তা ক্ষমার অযোগ্য। এমনকি মহিলা পুলিশ কর্মীরাও হামলাকারীদের হাত থেকে রেহাই পাননি। আমি পুলিশকে কঠোর ব্যবস্থা নিতে বলেছি, রাজনৈতিক দলমত নির্বিশেষে দোষীদের গ্রেপ্তার করতে এবং তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে বলেছি।এই ঘটনার জন্য বিজেপিকে সরাসরি দায়ী করে মমতা বলেন, বিরোধী দলের একমাত্র লক্ষ্য হিংসা সৃষ্টি করা এবং রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করা।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct