দেবাশীষ পাল, মালদা, আপনজন: বুধবার দুপুরে এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটে যায় মালদহে। মালদহে মুচিয়া চন্দ্রমোহন হাইস্কুলের ক্লাস রুমে পিস্তল হাতে ঢুকে পড়েছে এক ব্যাক্তি। সঙ্গে দু’টি অ্যাসিড বা পেট্রল বোমা সহ ইলেকট্রিক বোমা। ওই যুবকের নাম দেব বল্লভ। জানা যাচ্ছে তার স্ত্রী স্থানীয় পঞ্চায়েতের বিজেপি সদস্য। এই ঘটনার একটা ভিডিও ফুটেজও বেরিয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, ওই ব্যাক্তি হাতে পিস্তল নিয়ে হুমকি দিচ্ছে। আর ভয়ে সিঁটিয়ে ক্লাসরুমে বসে রয়েছে ছাত্রছাত্রীরা কান্নায় ভেঙে পড়েছে ছাত্র ছাত্রী সহ বাইরে থাকা অভিভাবকরা। ঘটনার আকস্মিকতা ও ভয়াবহতা এতটাই যে খবর পেয়ে স্কুলে পৌঁছেছেন অনেক অভিভাবক। তাঁরা স্কুলের বাইরে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। স্কুলের প্রধান শিক্ষকের ফোন পেয়ে সেখানে পৌঁছেছেন জেলা পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব। পুলিশ সুপার বিশাল বাহিনী নিয়ে স্কুলে ঢুকছেন। মালদায় স্কুলে পড়ুয়াদের পণবন্দি করার ঘটনায় অভিযুক্তকে তৎপরতার সঙ্গে বাগে এনেছে পুলিশ। পুলিশ অফিসার ডি এস পি ডি এন টি আজহার উদ্দিন খান অভিভাবক সেজে হঠাৎ করে ওই ব্যক্তিকে জাপটে ধরে ছাত্র-ছাত্রীদের জীবন বাঁচান নিজের জীবনকে বাজি রেখে এগিয়ে গেছেন প্রশাসনের কর্তারা সেই পরিস্থিতিতে ওই ব্যাক্তিকে আটক করে। মুচিয়া চন্দ্রমোহন স্কুলে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা এক হাজারেরও বেশি। এলাকায় এই স্কুলের পরিচিতি নাম রয়েছে। মালদা নালাগোলা রাজ্য সড়ক লাগোয়া এই স্কুল। ফলে ঘটনার খবর এদিন দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়েছে গোটা মালদহ জেলায়। খবর পৌঁছেছে নবান্নেও। অবশেষে পুলিশ ক্লাসরুম ধাবা করে ঐ বন্দুকবাজ কে ধরে ফেলে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। উত্তেজিত জনতা কে সামাল দেয় পুলিশ প্রশাসন অবশেষে ওই ব্যক্তিকে নিয়ে যাওয়া হয় প্রশাসনের তরফে। এবার সেই ঘটনায় পুলিশের ভূয়ষী প্রশংসা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে আগামদিনে স্কুল কমিটির সদস্যদের আরও নজর রাখা বা দারোয়ান নিয়োগের পরামর্শ দেন তিনি। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমার পুলিশরা বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়েছে, এবং আমার সংবাদিকরা মালদার, আমি ওদের সবসময় ভালবাসি। যে বুদ্ধিমত্তার পরিচয় তারা দিয়েছে, এবং একটা এতবড় ঘটনা থেকে রক্ষা করেছে। থ্যাঙ্ক গড, যে আমার বাচ্চারা ও ভাইবোনেরা সকলে সুস্থ আছে। টিচাররা সুস্থ আছে, পুলিশ সুস্থ আছে। আমি তাঁদের অভিনন্দন জানাই। আমি স্কুল কমিটির লোককে বলব, স্কুল যখন চালু হয়ে যাবে, একটু নজর রাখবেন। দরকার হলে দুটো দারোয়ান রাখাই যেতে পারে স্কুলে। পুলিশের কাছে তারা সাহায্য চাইতে পারে। এসব পরিকল্পনা চলবেই। গ্রামবাংলার মানুষ একটু সজসরল হয়, ভেবেছে কোনও গার্জিয়ান হবে। এখন এত সহজভাবে সবকিছু নিলে চলবে না। এই যুগটাই হচ্ছে সাইবার ক্রাইমের যুগ। এক ফোন যেমন সাহায্য করে, আবার একটা ফোনের মধ্যে দিয়ে বিশ্ব চক্রান্তও করা যায়।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct