নিজস্ব প্রতিনিধি, কালিয়াগঞ্জ, আপনজন: কালিয়াগঞ্জ থানায় ভয়াবহ পরিস্থিতি। দাউ দাউ করে জ্বলছে থানার একাধিক ঘর। পুলিশ অফিসারদের চেয়ার টেবিলে আগুন ধরিয়ে দেয়। আদিবাসী বিক্ষোভকারীরা তীর ধনুক নিয়ে পুলিশকে আক্রমণ করে। আদিবাসী কমিটির পক্ষ থেকে যে বিক্ষোভ মিছিলে ডাক দেওয়া হয় তাকে কেন্দ্র করেই পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাঁধে তুমুল। পুলিশের একাধিক কর্মীকে চিহ্নিত করে তাদের পোশাক খুলে বেধড়ক পেটানো হয়। মোট ৪০ জন পুলিশ কর্মী গুরুতর আহত হন। একটি বাড়ি ভাঙচুর করা হয় ও থানার মধ্যে থাকা কালীমন্দিরের পাশে একটি ছাউনিতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। শুধু তাই নয় থানার মধ্যে থাকা পুলিশের একটি গাড়িও ভেঙে ফেলা হয়। পুলিশকে লক্ষ্য করে চারদিক থেকে ইট পাটকেল ছোড়ার পাশাপাশি তীর ধনুক নিয়ে আক্রমণ করেন আদিবাসী বিক্ষোভকারীরা। মাথায় হেলমেট পড়ে বেশ কিছু বহিরাগতদের পুলিশকে আক্রমণ করতে দেখা যায়। উত্তর দিনাজপুর জেলার পুলিশ সুপার মোঃ সানা আনসারী ও ডিএসপি সদর রিপন বাউল অতিরিক্ত ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। হাজার হাজার বিক্ষোভকারী চারদিক থেকে কালিয়াগঞ্জ থানাকে ঘিরে ফেলেছে। পুলিশ উত্তেজিত আদিবাসীদের সামাল দিতে লাঠিচার্জ করে এবং কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটায়। শুধু তাই নয়, জল কামান থেকে ছোড়া হয় জল। কিন্তু তারপরেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রীতিমত বেগ পেতে হয় পুলিশকে। পুলিশের পক্ষ থেকে বারবার উত্তেজিত জনতাকে শান্ত হওয়ার জন্য আবেদন জানানো হয়। কিন্তু কিছুতেই আদিবাসীরা শান্ত হন না। আহত পুলিশকর্মীদের উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। গোটা কালিয়াগঞ্জ শহর নিমেষে বন্ধের চেহারা নেয়। মানুষজন আতঙ্কিত হয়ে ঘরের দরজা জানলা বন্ধ করে দেয়। নিমেষে কালিয়াগঞ্জ থানা পুড়ে ছাই হয়ে যায়। থানার মধ্যে থাকা পুলিশের গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এদিকে সন্ধ্যে নেমে আসছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছে। পুলিশের যত মোটরসাইকেল ছিল সেগুলোকে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। থানার মধ্যে ঢুকে তাণ্ডব চালায় বিক্ষোভকারীরা।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct