আপনজন ডেস্ক: এই গরম থেকে রক্ষা পেতে অনেকেই এয়ার কন্ডিশনার বা এসি ব্যবহার করছেন। তবে যারা এসি ব্যবহার করেন তারা না জেনেই অনেককিছু ভুল করেন। এতে এসি দ্রুত অব্যবহারযোগ্য হয়ে পড়ে। অনেকেই এসি-র ফিল্টার দীর্ঘ দিন পরিষ্কার করেন না। এমন পরিস্থিতিতে ফিল্টারে ধুলা-ময়লা জমে এসি-র বাতাসের প্রবাহ কমে যায়। এতে ঘর ঠান্ডা করার ক্ষেত্রে এসি কম্প্রেসারের উপর লোড বেড়ে যায় এবং ঘরটিও ঠিকমতো ঠান্ডা হয় না। সময় মতো ফিল্টার পরিষ্কার না করা হলে কম্প্রেসার নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এজন্য প্রতি মরশুমে অন্তত এক বার ফিল্টার পরিষ্কার করা উচিত। অনেকেই আছেন, যারা গরমের হাত থেকে তাৎক্ষণিক স্বস্তি পেতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রার সেটিং-এ এসি চালান। এতেও কম্প্রেসারের উপর হঠাৎ করে চাপ পড়ে। দীর্ঘ সময় ধরে এটি করলে এসি-র ঠান্ডা করার ক্ষমতা কমে যায়। অনেকেই ঘর থেকে বেরোনোর সময় বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি বন্ধ করেন না। এমনকী এসি-ও বন্ধ করেন না। আসলে এসি যাতে সঠিক ভাবে কাজ করতে পারে, তার জন্য এটিকে কিছুটা বিশ্রাম দেওয়া প্রয়োজন। এসি চালানোর সময় ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ করে রাখা উচিত। দরজা কিংবা জানলা খোলা থাকলে এসি-র বাতাস বাইরে বেরিয়ে যেতে পারে। এতে ঠান্ডা ভাবটাও থাকে না। ফলে এসি-র লোডও বাড়ে এবং ক্ষতির সম্ভাবনাও বেড়ে যায়। অনেকেই এসি অন করলে সিলিং ফ্যান অন করেন না। যদি ফ্যান এবং এসি দুটোই একসঙ্গে ব্যবহার করা হয়, তাহলে এসির ঠান্ডা হাওয়া ঘরের প্রতিটি কোণায় পৌঁছে যায়। ফলে এসি-তে বেশি লোড পড়ে না এবং এসির কম্প্রেসার অনেক দিন ভালো থাকে। তাতে আপনার পকেটেও চাপ কম পড়বে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct