মোল্লা মুয়াজ ইসলাম, বর্ধমান, আপনজন: গরমে হাঁসফাঁস করছে পূর্ব বর্ধমান।গত কয়েকদিনে উষ্ণতার পারদ ৪০ থেকে ৪৩ ডিগ্রির আশপাশে ঘোরাফেরা করছে। শনিবারেও চরম উষ্ণতার সঙ্গে আদ্রতার পরিমান বেশী থাকায় আরও বেশী কষ্ট অনুভব করেছে মানুষ। শুধু মানুষই নয়, আবহাওয়ার এই তীব্রতায় কাহিল হয়ে পড়ছে পশু পক্ষিরাও। বর্ধমানের একমাত্র চিড়িয়াখানা অর্থাৎ রমনাবাগান অভয়ারণ্যের ভিতরে থাকা প্রাণীদের অবস্থাও করুণ। পশু পক্ষিরা যাতে এই তীব্র গরমে অসুস্থ হয়ে না পড়ে তার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে বর্ধমান বনবিভাগের আধিকারিকরা। দুজন চিকিৎসক সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তীক্ষ্ণ নজরে রেখেছেন এই পশু পক্ষীদের। গরমের তাপ থেকে প্রাণীদের আরাম দিতে ইতিমধ্যেই চিতা বাঘ, ভল্লুক, ময়ূর, বাঁদর, মদনটাক, শামুক খোল, শকুনি, টিয়া, ইমু সহ নানান প্রজাতির পাখিদের খাঁচার উপরে খড়ের বিচুলি ভিজিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে রমনা বাগান কর্তৃপক্ষ। দিনে বেশ কয়েকবার খাবার জলের সঙ্গে দেওয়া হচ্ছে ওআরএস। রমনা বাগানের অন্যতম আকর্ষণ একটি মাত্র ভল্লুকের শুশ্রুষায় রীতিমত নজর দিয়েছেন চিকিৎসক থেকে বন কর্মীরা। গরমের প্রকোপ থেকে বাঁচাতে খাঁচায় লাগানো হয়েছে বিশাল ফ্যান। শরীর কে ঠান্ডা রাখতে মাঝেমধ্যেই দেওয়া হচ্ছে ফ্রুটি, ওআরএস। প্রচুর গাছপালা রমনা বাগান এলাকাকে কিছুটা হলেও ঠান্ডা রাখে। তবুও প্রাণীদের যাতে কোনো সমস্যা না হয় তার জন্য বিশেষ নজর রাখা হয়েছে। একটি শাবক সহ তিনটি চিতা বাঘের বিশেষ যত্ন নেওয়া হচ্ছে। কড়া নজরদারি রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানান বর্ধমান ফরেষ্ট রেঞ্জার আব্দুল মাসুদ।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct