আপনজন ডেস্ক: শেষ ২৪ বলে গুজরাট টাইটানসের প্রয়োজন ছিল ৩৪ রান। ক্রিজে থিতু শুবমান গিল, ১ ওভার আগে অবশ্য ফিরেছেন হার্দিক পান্ডিয়া। শেষ হওয়ার আগে কিছুই শেষ নয়, গত কয়েক দিনে আইপিএলের শেষের রোমাঞ্চের সূত্র ধরে ধারাভাষ্যে সেটিই মনে করিয়ে দিচ্ছিলেন ইয়ান বিশপরা।শেষ ওভারের দ্বিতীয় বলে ফিরলেন গিল, মোহালি এবার অপেক্ষায় রোমাঞ্চের। তৃতীয় বলে রাহুল তেওয়াতিয়ার সিঙ্গেলের পর পরের বলের ডেভিড মিলার নিতে পারলেন আরেকটি। স্যাম কারেনের দুর্দান্ত ডেথ বোলিং তখন হুমকি দিচ্ছে ম্যাচ বের করে নেওয়ার। কিন্তু পঞ্চম বলে দারুণ স্কুপে কারেনকে চার মেরে ম্যাচ শেষ করলেন তেওয়াতিয়া। পাঞ্জাব কিংসের দেওয়া ১৫৪ রানের লক্ষ্য গুজরাট পেরিয়ে গেল ৬ উইকেট ও ১ বল বাকি থাকতে। মোহালির এ উইকেট ব্যাটিং–সহায়ক, বলা হচ্ছিল এমন। তবে পাঞ্জাব টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই চাপে পড়ে সেখানে। ৪ ওভারের মধ্যে দুই ওপেনার প্রভসিমরান সিং ও ধাওয়ানকে হারিয়ে চাপে পড়ে পাঞ্জাব। যদিও পাওয়ারপ্লেতে ৬ ওভারে ঠিকই ৫২ রান তোলে দলটি। ম্যাথু শর্টের ২৪ বলে ৩৬, জিতেশ শর্মার ২৩ বলে ২৫ বা স্যাম কারেনের ২২ বলে ২২ রানের ইনিংস পাঞ্জাবকে সেভাবে টানতে পারেনি মাঝের ওভারগুলোতে। সাতে নামা শাহরুখ খানের ৯ বলে ২২ রানের ক্যামিওতে শেষ পর্যন্ত দলটি ২০ ওভার ব্যাটিং করে যায় ১৫৩ রান পর্যন্ত। গুজরাটের সব বোলারই পেয়েছেন উইকেটের দেখা। একাধিক উইকেট পেয়েছেন একজনই—মোহিত শর্মা। ৪ ওভারে ১৮ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন এ পেসার, ২০২০ সালের পর যিনি প্রথমবারের মতো খেললেন আইপিএলে। তাঁর সর্বশেষ আইপিএল ম্যাচটিও ছিল পাঞ্জাবের বিপক্ষেই (তখনকার পাঞ্জাব কিংস)। রান তাড়ায় ঋদ্ধিমান সাহা ও গিল ঝোড়ো শুরুই এনে দেন গুজরাটকে। পাওয়ারপ্লেতে ওঠে ৫৬ রান। প্রথম ৬ ওভারে পাঞ্জাব হারিয়েছিল ২ উইকেট, গুজরাট হারায় ১ উইকেট। পাওয়ারপ্লের পরের ৪ ওভারে ২৩ রান তুলতে আরও ১ উইকেট হারিয়েছিল পাঞ্জাব, তবে এ সময়ে ২৪ রান তুললেও উইকেট হারায়নি গুজরাট। উইকেট ধরে রেখে শেষ পর্যন্ত যাওয়া—গুজরাট খেলেছে এমন পুরোনো ধাঁচের টি-টোয়েন্টিই। তাতে নেতৃত্ব দিয়েছেন গিল। ফিফটি করতেই তাঁর লাগে ৪০ বল, ৪৯ বলে ৬৭ রানের ইনিংসে মারেন মাত্র একটি ছক্কা। যদিও শেষ করে আসতে পারেননি তিনি। শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ৭ রান, কারেনের বোলিং তো পাঞ্জাবকে আশাও দিল। তবে সব শেষ করে দিলেন তেওয়াতিয়া।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct