এম মেহেদী সানি, বারাসত, আপনজন: উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সামনে তৃণমূল যুব কংগ্রেসের ডাকে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হল বুধবার। জানা গিয়েছে মঙ্গলবার সাত দফা দাবিতে বারাসতের হেলা বটতলা থেকে মিছিল করে জেলা পরিষদে ডেপুটেশন দিতে গিয়ে ব্যারিকেড ভেঙে মিছিল এগোতে চাইলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে। অভিযোগ, তখন পুলিশকর্মীদের উপর হামলা চালায় বিক্ষোভকারীরা। এমনকী জেলা পরিষদের গেট এবং ওই চত্বরের সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর করারও অভিযোগ ওঠে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে এদিনের ঘটনায় পাঁচজন পুলিশ কর্মী জখম হন ও ১০ জন আন্দোলনকারীকে আটক করা হয়। বাম ছাত্র-যুবদের ওই স্মারকলিপি জমা দেওয়ার কর্মসূচিতে সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুরের ঘটনায় বুধবার যুব তৃণমূল কংগ্রেসের ডাকে ধিক্কার ও প্রতিবাদ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয় বারাসতে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সামনে। বুধবার ওই প্রতিবাদ সভার মঞ্চ থেকে বাম আমলে চিরকুটে চাকরি পাওয়ার অভিযোগ তুলে ৭১ জনের নামের তালিকা প্রকাশ করেন তৃণমূল নেতৃত্বরা। প্রতিবাদ সভায় রাজ্যের বন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, “হার্মাদ বাহিনী ডেপুটেশনের নামে গুন্ডামি করেছে। জেলা পরিষদ চত্বরে থাকা সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করার পাশাপাশি পুলিশকে মারধরও করার ধিক্কার জানাচ্ছি। সাংসদ সৌগত রায় বলেন, ডেপুটেশনের নামে যেভাবে সরকারি সম্পত্তি ব্যাপকহারে নষ্ট করল এর জন্য পুলিশ প্রশাসনকে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানাচ্ছি। রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক সরকারি সম্পত্তি নষ্টের তীব্র নিন্দা করে বামফ্রন্টের কড়া সমালোচনা করেন। অশোকনগরের বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী বলেন, দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি ‘বদলা নয় বদল চাই’ এই স্লোগানটি ২৪ ঘন্টার জন্য প্রত্যাহার করে নিতেন তাহলে আমরা বুঝিয়ে দিতাম। বামফ্রন্টকে নিশানা করে এমন ভাষাতেই হুঁশিয়ারি দেন নারায়ণ গোস্বামী। বিধায়ক তাপস রায়ও সিপিএমের বিরুদ্ধে সুর চড়ান। এ দিন জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ পীরজাদা একেএম ফারহাদের নেতৃত্বে বহু তৃণমূল নেতা কর্মী সমর্থকরা ওই প্রতিবাদ সভায় যোগ দেন। এই প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক ও জেলা পরিষদের সভাধিপতি বীনা মন্ডল, বিধায়ক রফিকার রহমান, বারাসত পৌরসভার চেয়ারম্যান অশনি মুখার্জি, বনগাঁ পৌরসভার চেয়ারম্যান গোপাল শেঠ, তৃণমূল নেতৃত্ব আরশাদ-উর-জামান সহ জেলা নেতৃত্ব।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct