সেখ রিয়াজুদ্দিন, বীরভূম, আপনজন: বীরভূম জেলার খয়রাসোল ব্লক বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংবাদ শিরোনামে উঠে আসে বারেবারে। বিশেষ করে রাজনীতিতে পদাধিকারী নিয়ে গন্ডগোল। তৃণমূল কংগ্রেসের জন্মলগ্ন থেকে সেই ধারাবাহিকতা বহমান।জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মন্ডল জেলবন্দী থাকার ফলে সংগঠনের মধ্যে ও দেখা দিয়েছে বেপরোয়া মনোভাবাপন্ন হয়ে উঠতে। সম্প্রতি তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা কোর কমিটির সদস্য এবং একদা খয়রাসোল ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের পর্যবেক্ষক সুদীপ্ত ঘোষ বনাম খয়রাসোল ব্লক সভাপতি কাঞ্চন অধিকারীর দলগত সংঘাত প্রকাশ্যে বেরিয়ে আসে। উল্লেখ্য কোলকাতায় দলীয় মিটিং এ মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সুদীপ্ত ঘোষের বিরুদ্ধে কাজে বিঘ্ন ঘটানোর অভিযোগ করেন ব্লক সভাপতি। এর প্রেক্ষিতে সুদীপ্ত ঘোষকে ব্লক পর্যবেক্ষকের পদ থেকে সরিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। দিন কয়েক পরেই দশটি অঞ্চল সভাপতিদের নিয়ে ব্লক সভাপতি মিটিং ডাকেন কিন্তু সেখানে আটটি অঞ্চল সভাপতি অনুপস্থিত থেকে একপ্রকার ব্লক সভাপতি বয়কটের বার্তা দেন। অপরদিকে সেই সমস্ত সভাপতিরা আবার সুদীপ্ত ঘোষকে ব্লকের পর্যবেক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করানোর জন্য দলীয় উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের কাছে আবেদন করেন। সেই সংঘাত মিটতে না মিটতেই ফের নতুন করে গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের চিত্র প্রকট হয়ে ওঠে একটি সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট ঘিরে। জানা যায় গতকাল খয়রাসোল ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস কমিটির মিটিং ডাকা হয় নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়ে। সেখানেও দেখা যায় ব্লক কমিটির নয়জন সদস্য উপস্থিত থাকলেও ছয়জন সদস্য অনুপস্থিত ছিলেন। যদিও একাংশের বক্তব্য ব্লক কমিটির মিটিং এ উপস্থিত করানোর জন্য সদস্যদের বাড়ি বাড়ি গাড়ি পাঠিয়ে আনার চেষ্টা করা হয়। কিছুজন এলেও অনেকে অনুপস্থিত থেকেছেন। এরইমধ্যে খয়রাসোল পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সভাপতি, বর্তমানে সদস্য এবং তৃণমূল ব্লক কমিটির গুরুত্বপূর্ণ সদস্য শ্যামল গায়েন নিজের ফেসবুক পেজে ম্যাসেজ করেছেন , তা নিয়ে শোরগোল এলাকা। তিনি উল্লেখ করেছেন যে- ফর্মে থাকা খেলোয়াড় অবসর নিলে যেমন স্মরনীয় হয় তেমনি ক্ষমতার শীর্ষে থেকে মানুষের ভালোবাসা নিয়ে রাজনীতি থেকে অবসর নেওয়া শ্রেয় যখন ব্লক রাজনীতি কদর্য হয়ে ওঠে। এটা সরাসরি কারোর নাম না নিলে ও এলাকাবাসীর বুঝতে অসুবিধা হয়নি কাকে লক্ষ্য করে এই বাণ নিক্ষেপ করা হচ্ছে। তবে পোস্ট করার পর থেকে শ্যামল গায়েন এর ফোনের সুইচ অফ করা যার জন্য তার কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।অপরদিকে ব্লক সভাপতি কাঞ্চন অধিকারীর সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন বিষয়টি আমি ও শুনেছি, তবে এই মুহূর্তে কিছু বলতে পারবোনা। এলাকায় গুঞ্জন আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটের টিকিট বিলির আগেই এরূপ ঘটনা ফলে কি গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের চিত্র প্রকট হয়ে উঠছে? উঠছে প্রশ্ন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct