নিজস্ব প্রতিবেদক, হাওড়া, আপনজন: হাওড়ায় সিপিআইএম জেলা কমিটির উদ্যোগে বামপন্থী দলসমূহের ডাকে সোমবার বিকেলে এক শান্তি ও সম্প্রীতির মহামিছিলের আয়োজন করা হয়। হাওড়ার বালিখাল থেকে গোলাবাড়ির ব্রিজ অ্যান্ড রূফ কারখানা পর্যন্ত ওই মিছিল অনুষ্ঠিত হবে। ধর্মীয় উৎসবে রাজনৈতিক অনুপ্রবেশ ঘটানোর অপচেষ্টা বন্ধ করার দাবিতে, সারা বাংলায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ঐতিহ্য রক্ষা করার দাবিতে এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় রাজ্যের পুলিশ প্রশাসনের ব্যর্থতার প্রতিবাদে এদিনের এই মহামিছিল বলে বাম নেতৃত্ব জানিয়েছে। বালিখাল থেকে এদিন মিছিল শুরু হয়। উত্তর হাওড়ার পিলখানা ব্রিজ অ্যান্ড রুফ কারখানা পর্যন্ত যাবার কথা ওই মিছিলের। সেখানেই হবে সভা। রামনবমীর মিছিলকে কেন্দ্র করে হাওড়া ও হুগলিতে যে অশান্তি সৃষ্টি হয়েছিল তারজন্য প্রশাসনের ব্যর্থতাকেই দায়ী করে বামফ্রন্টের এই মহামিছিল। বিমান বসু, রবীন দেব, শ্রীদীপ ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে এই মহামিছিলে পা মেলালেন বামফ্রন্টের কর্মী সমর্থকরা। মিছিলের সূচনা করে বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু বলেন, বালিখাল থেকে পিলখানা পর্যন্ত আমাদের মিছিল যাবে। সেখানে সভা হবে। এই মিছিল প্রয়োজন আছে। মানুষের মধ্যে শান্তি সম্প্রীতির মেলবন্ধন তৈরি করার আকুতি নিয়ে আমাদের এই মিছিল। এই মিছিল দাঙ্গাবাজদের বিরুদ্ধে ধিক্কার জানিয়ে মানুষে মানুষে সম্প্রীতির মেলবন্ধন তৈরি করার মিছিল। বামেদের মহামিছিল বালিখাল থেকে শুরু হয়ে আসার কথা ছিল পিলখানা পর্যন্ত। সেখানেই সভার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তার আগেই সালকিয়ায় পুলিশ ব্যারিকেড করে সেই মিছিল আটকে দিলে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়।মিছিলে আসা বাম সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক ধস্তাধস্তি বেধে যায়। উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বাম কর্মী সমর্থকেরা প্রায় ঘন্টাখানেক সেখানেই রাস্তা আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখান। সেখানেই বিমান বসু অবস্থান বিক্ষোভ করেন। মাইক হাতে বক্তব্য রাখেন। শেষে পুলিশ বলপ্রয়োগ করে বাম কর্মী সমর্থকদের সরিয়ে দেয়।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct