নাজিম আক্তার, হরিশ্চন্দ্রপুর, আপনজন: দুয়ারে সরকার ক্যাম্প বসার আগেই টাকার বিনিময়ে ভবিষ্যৎ ক্রেডিট কার্ড প্রকল্পের ফর্ম বিক্রি করার অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখালেন ফর্ম জমা দিতে আসা যুবকেরা। এই নিয়ে এদিন হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লকের তুলসীহাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের দুয়ারে সরকার শিবিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। জানা যায়,সোমবার ছিল তুলসীহাটা গ্রাম পঞ্চায়েতে দুয়ারে সরকার শিবির। সেখানে সারিবদ্ধভাবে বসেছিল কৃষক বন্ধু, সামাজিক সুরক্ষা যোজনা,খাদ্য সাথী,কন্যাশ্রী,যুবশ্রী,রুপশ্রী,বিদুৎ বিল, এসসি, এসটি, ওবিসি ও জমির মিউটেশন পরিষেবার শিবিরি। এর পাশাপাশি বসেছিল ভবিষ্যৎ ক্রেডিট কার্ড প্রকল্পের শিবিরও। অভিযোগ, দুয়ারে সরকারে ভবিষ্যৎ ক্রেডিট কার্ড প্রকল্পের শিবির থাকলেও তাতে কোনো সরকারি কর্মচারী ছিল না। এই কাঠফাটা রোদে ফর্ম নিতে ও জমা দিতে এসে হন্যে হয়ে ঘুরে যেতে হয় যুবকদের। বাধ্য হয়ে কয়েকজন যুবক শিবিরের সামনে বসে পড়েন। চলে বিক্ষোভ। শিবির পরিদর্শনে এসে এই বিষয়টি নজরে আসে হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লকের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি বিমান ঝা ও জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সম্পাদক কৃষ্ণ মহালদারের। তারা পঞ্চায়েত আধিকারিদের সঙ্গে কথা বলে সমস্যা সমাধান করার চেষ্টা করেন। এর পরেই শিবিরে বসানো হয় সরকারি কর্মচারী। অভিযোগকারী উত্তম কুমার মল্লাহ জানান, তিনি ভবিষ্যৎ ক্রেডিট কার্ড প্রকল্পের ফর্ম জমা দেওয়ার জন্য সকাল থেকে এদিন দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে ছিলেন। কিন্তু ক্যাম্প থাকলেও সেখানে কোনো সরকারি কর্মচারী ছিল না। ফাঁকা ক্যাম্প। তিনি আরো অভিযোগ করে বলেন, এই দুয়ারে সরকার ক্যাম্প বসার আগেই টাকার বিনিময়ে বুথে বুথে ফর্ম বিক্রি করা হয়েছে। সরকারি ফর্ম কিভাবে তৃণমূল নেতা কর্মীদের হাতে আগেই পৌঁছে গেল তা নিয়ে তিনি প্রশ্ন তোলেন। পঞ্চায়েত ডেভেলপমেন্ট অফিসার বিল্টু সরকার জানান,বাইরে ফর্ম বিক্রির অভিযোগটি একেবারে ভিত্তিহীন। তবে ক্যাম্পে কেউ ছিল না তা তিনি স্বীকার করে নেন। এরপরে ক্যাম্পে এক পঞ্চায়েত কর্মচারীকে বসিয়ে ফর্ম দেওয়া ও নেওয়ার কাজ শুরু করেন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct