সাদ্দাম হোসেন মিদ্দে, বারাসত, আপনজন: দুই জেলাকে যেন মিলিয়ে দিল কয়েক ফোঁটা রক্ত! উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার বারাসাতে ছুটে গিয়ে এক ক্যানসার আক্রান্ত মহিলাকে রক্ত দিলেন দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার ভাঙড়ের নাসির হোসেন। রক্ত দিয়ে তিনি দাবি করেন রক্তদানের গুরুত্ব স্কুলে শেখানো উচিত। বৃহস্পতিবার রাতে ভাঙড়ের রক্তযোদ্ধা আরিফ মহম্মদ মালি নামে এক ব্যক্তি ফেসবুক পোস্ট করেন আপৎকালীন এ পজেটিভ রক্তের প্রয়োজনের কথা লিখে। পোস্টটি চোখে পড়ে ভাঙড়ের শানপুকুর অঞ্চলের কাশিপুর গ্রামের নাসির হোসেনের। নাসির যোগাযোগ করেন আরিফের সঙ্গে। আরিফ জানান রক্ত দিতে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরের বারাসাতে যেতে হবে। পরদিন সকালে অর্থাৎ শুক্রবারে নাসির ছোটেন বারাসাতে রক্ত দিতে। তিনি বারাসাত ক্যানসার রিসার্চ সেন্টারে তহুরা বিবির জন্য রক্ত দেন।নাসির বর্তমানে কলকাতার একটি বেসরকারি কোম্পানিতে কর্মরত। কারবালা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন তিনি। তারপর আর পড়াশোনা করা সম্ভব হয়নি। পুঁথিগত শিক্ষায় তিনি খুব বেশি এগোতে না পারলেও মানবিকতার শিক্ষায় তিনি অনেকটাই যে এগিয়ে তা মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে বোঝালেন। ২৬ বছর বয়সী নাসির হোসেন এই নিয়ে দ্বিতীয় বার রক্ত দিলেন। তিনি বলেন, রক্তদানের গুরুত্ব স্কুলে শেখানো উচিত, যাতে সবাই এর উপকারিতা সম্পর্কে সচেতন হয়। রক্ত দিয়ে স্থাপিত বন্ধন এবং সম্পর্ক গুলি অর্থ দিয়ে প্রতিষ্ঠিত বন্ধন এবং সম্পর্কের চেয়ে অনেক বেশী।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct