জয়প্রকাশ কুইরি, পুরুলিয়া, আপনজন: অগণতান্ত্রিক ভাবে রাহুল গান্ধীর সংসদ পদ খারিজের প্রতিবাদে তথা বিজেপি সংবিধান বিরোধী, গণতন্ত্র বিরোধী, জন বিরোধী নীতির বিরুদ্ধে, লাগাম ছাড়া মূল্য বৃদ্ধির বিরুদ্ধে ও রাজ্য সরকারের সর্বস্তরে ব্যাপক দুর্নীতি সহ জেলার বিপর্যস্ত শিক্ষা ব্যাবস্থা পুনরুদ্ধার ও জেলা ভিত্তিক শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে পুরুলিয়া জেলা কংগ্রেসের ডাকে পদ যাত্রা ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হল শনিবার পুরুলিয়ার ঝালদা হাটতলা শহীদ তপন কান্দু মঞ্চে। এদিন মঞ্চে উপস্থিত হয়ে পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেসের মুখপাত্র তথা আইনজীবি কৌস্তভ বাগচী বলেন, তপন কান্দুকে মেরে দিয়ে তৃণমূল ভেবেছিল পুরুলিয়া ও ঝালদা থেকে কংগ্রেস কে শেষ করে দেবে কিন্তু পারেনি। পুরুলিয়ার মাটি , ঝালদার মাটি কারও বাপের ক্ষমতা নেই কংগ্রেস কে এখান থেকে শেষ করে দেবে। এর পরই ঝালদা থানার আইসি কে নিশানা করে বলেন , ঝালদা থানার আইসি কে যতক্ষণ না জেলে পাঠাতে পারছি আমার শান্তি নেই এই আইসি কে জেলে পাঠাতেই হবে। কত বেনামে সম্পত্তি সবই বেরিয়ে আসবে। সব ফাইলই রেডি হচ্ছে। ইডি,সিবিআই সবাই আই আই করে ডাকবে। কংগ্রেস কর্মী সমর্থকদের সাক্ষী রেখে তিনি বলেন রাজ্য থেকে তৃণমূল কে উৎখাত না করা পর্যন্ত আমার মাথায় চুল গজতে দেব না। পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলে ,আমাদের কংগ্রেস নেতা তপন কান্দুকে খুন করে দিল মমতা ব্যানার্জীর একটুও বিবেকে বাঁধলো না। বর্তমান আইসিকে ক্লিন চিট দিল তৎকালীন এসপি। যে এসপি নিজে একজন কয়লা চোরের আসামী। আবার সেই খুনের যিনি সাক্ষী ছিলেন তিনি আত্মহত্যা করলেন। মমতাকে উদ্দেশ্য করে বলেন আপনার নেতৃত্বে বাংলার গণতন্ত্র হত্যা হয়েছে। বিজেপি ও তৃণমূলের কাছে মানুষ আর থাকতে চাই না ওরা হাত গুটিয়ে নিয়েছে। ঝালদা থেকে মালদা আমরা দখল করে নিয়েছি। আগামী দিনে যদি বাংলার মানুষ স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে ভোট দিতে পারে তাহলে সারা বাংলা জুড়ে তৃণমূল আর থাকবে না। কংগ্রেসের এদিনের এই সভায় উপস্থিত ছিলেন পুরুলিয়া জেলা কংগ্রেস সভাপতি নেপাল মাহাতো, পুরুলিয়া পৌরসভার প্রাক্তন পৌরপ্রধান শামীম দাদ খান ,ঝালদা পৌরসভার উপ পৌরপ্রধান পূর্ণিমা কান্দু সহ হাজার হাজার কংগ্রেস নেতা কর্মী সমর্থক।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct