বাংলার নবজাগরণ বলতে বোঝায় ব্রিটিশ রাজত্বের সময় অবিভক্ত ভারতের বাংলা অঞ্চলে ঊনবিংশ ও বিংশ শতকে সমাজ সংস্কার আন্দোলনের জোয়ার ও বহু কৃতি মনীষীর আবির্ভাবকে। মূলত রাজা রামমোহন রায়ের (১৭৭২-১৮৩৩) সময় এই নবজাগরণের শুরু এবং এর শেষ ধরা হয় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের (১৮৬১-১৯৪১) সময়ে। যদিও এর পরেও বহু জ্ঞানীগুণী মানুষ এই সৃজনশীলতা ও শিক্ষাদীক্ষার জোয়ারের বিভিন্ন ধারার ধারক ও বাহক হিসাবে পরিচিত হয়েছেন। ঊনবিংশ শতকের বাংলা ছিল সমাজ সংস্কার, ধর্মীয় দর্শনচিন্তা, সাহিত্য, সাংবাদিকতা, দেশপ্রেম ও বিজ্ঞানের পথিকৃৎদের এক অনন্য সমাহার যা মধ্যযুগের অন্ত ঘটিয়ে এদেশে আধুনিক যুগের সূচনা করে। তা নিয়ে সন্দর্ভটি লিখেছেন দিলীপ মজুমদার...
১. উইলিয়াম কেরি ( ১৭৬১- ১৮৩৪)
যে সব বিদেশি বাংলা ও বাঙালিকে আত্মার আত্নীয়ে পরিণত করেছিলেন, উইলিয়াম কেরি তাঁদের একজন। ১৭৬১ সালে ইংল্যাণ্ডের নর্দানটনশায়ারে তাঁর জন্ম। পরে তিনি ব্যাপটিস্ট ধর্মসম্প্রদায়ের সঙ্গে যুক্ত হন। ‘ব্যাপটিস্ট সোসাইটি ফর প্রোপাগেটিং দ্য গসপেল অ্যামং দ্য হিদেন’ সংগঠনের সদস্য হিসেবে তিনি কলকাতায় আসেন ১৭৯৩ সালের ১৩ জুন। মুনশি রামরাম বসুর কাছে বাংলা ভাষা শিক্ষা করেন। ১৭৯৯ সালে তিনি শ্রীরামপুরে মার্শম্যান, ওয়ার্ড, গ্র্যান্ট প্রভৃতির সঙ্গে মিলিত হন এবং ১৮০০ সালের ১০ জানুয়ারি শ্রীরামপুরে ব্যাপটিস্ট মিশন ও প্রেস স্থাপন করেন। ১৮০১ সালে তিনি নবনির্মিত ফোর্ট উইলিয়াম, কলেজের দেশীয় ভাষার শিক্ষক নিযুক্ত হন। এই কলেজই বাংলা গদ্যের সূতিকাগার। কেরি মুনশি ও পণ্ডিতদের বাংলা গদ্যে পাঠ্যপুস্তক রচনার উৎসাহ দেন। নিজেও রচনা করেন ‘কথোপকথন’ ও ‘ইতিহাসমালা’ নামক দুটি বই। বাংলায় বাইবেলের অনুবাদও করেছিলেন তিনি। তিনি যুক্ত ছিলেন স্কুল সোসাইটিতে। স্ত্রীশিক্ষা প্রসারে উদ্যোগ নিয়েছিলেন তিনি। তাঁর চেষ্টায় বাংলায় গড়ে ওঠে কৃষি উদ্যান সমিতি।
দ্রষ্টব্য: উইলিয়াম কেরি : জীবন ওসাধনা / সুশান্ত সরকার। কেরি সাহেবের মুনশি / প্রমথনাথ বিশী। উইলিয়াম কেরি / সজনীকান্ত দাস। ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ / নিখিল সুর। ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের পণ্ডিত / ব্রজেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়। Memoir of William Carey D.D / Eustace Carey . The Life of William Carey D.D / George Smith .
২. রামমোহন রায় ( ১৭৭২/৭৪-১৮৩৩)
হুগলির এক সম্পন্ন পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন রামমোহন রায়। বিভিন্ন স্থানে ভ্রমণ, জাতিধর্ম নির্বিশেষে মানুষের সঙ্গে মেলামেশা, আরবি-ফারসি-সংস্কৃত ও ইংরেজি ভাষায় নানা গ্রন্থপাঠ তাঁর সংস্কারমুক্ত, যুক্তিপ্রবুদ্ধ, মানবতাবাদী দৃষ্টিভঙ্গি গঠন করেছিল। এর মধ্য দিয়েই গড়ে উঠেছিল তাঁর ব্যক্তিত্ব, যার অপরিহার্য উপাদান আত্মমর্যাদাবোধ। এই আত্মমর্যাদাবোধের প্রেরণায় তিনি ভাগলপুরের কালেক্টর স্যার হ্যামিলটনের ঔদ্ধত্যকে প্রতিহত করেছিলেন। রামমোহন লক্ষ্য করেছিলেন দেশের অনৈক্য ও অনুন্নতির মূলে আছে জাতি, ধর্ম ও আচারগত বিভাজন। তাঁর ধর্মীয় ও সামাজিক সংস্কারের মূলে ছিল ঐক্য ও সংহতি স্থাপন। এই উদ্দেশ্যে তিনি ১৮১৬ সালে আত্মীয় সভা, ১৮২১ সালে ইউনিটারিয়েন সমিতি, ১৮২৫ সালে বেদান্ত কলেজ, ১৮২৮ সালে ব্রাহ্মসভা ( পরে এর নাম হয় ব্রাহ্মসমাজ ) স্থাপন করেন। নারীজাতির দুর্দশাও যে দেশের অগ্রগতির বাধা তা অনুভব করে তিনি সতীদাহ প্রথার বিরুদ্ধে শুরু করেন আন্দোলন। ১৮২৯ সালে রদ হয় এই নারীঘাতী প্রথা। সামাজিক ও রাজনৈতিক স্বাধীনতার জন্য আধুনিক শিক্ষার অপরিহার্যতা তিনি উপলব্ধি করেছিলেন। ১৮২৩ সালে লর্ড আমর্হাস্টকে লেখা চিঠিতে তিনি সংস্কৃত শিক্ষার জন্য অর্থ ব্যয় না করে পাশ্চাত্যশিক্ষা ( বিশেষ করে গণিত, বিজ্ঞান, শারীরবিদ্যা) প্রসারে জোর দিতে অনুরোধ করেন। হিন্দু কলেজ ও ক্যালকাটা স্কুল বুক সোসাইটির পৃষ্টপোষক ছিলেন রামমোহন। বাংলা ভাষাচর্চার গুরুত্বও অনুভব করেছিলেন। তিনি চাইতেন এদেশের ইংরেজ রাজপুরুষরাও বাংলা ভাষা শিক্ষা করুন। তাই ১৮২৬ সালে তিনি প্রকাশ করেন ‘বেঙ্গলি গ্রামার ইন দ্য ইংলিশ ল্যাংগুয়েজ’। বাংলা গদ্যের প্রথম যুগের অন্যতম রূপকার তিনি। তাঁর রচনার মধ্যে আছে বেদ-উপনিষদের অনুবাদ, সতীদাহ-সহমরণ-ধর্মান্তর ইত্যাদি বিষয়ে বিতর্কমূলক পুস্তিকা, ‘গৌড়ীয় ব্যাকরণ’, ‘ব্রহ্মসংগীত’ প্রভৃতি মৌলিক রচনা। ‘সম্বাদ কৌমুদী’, ‘ব্রাহ্মণ সেবধি’, ‘মিরাৎ-উল-আখবার’ নামক সংবাদপত্রও সম্পাদনা করেছিলেন তিনি। প্রখর ছিল তাঁর রাজনৈতিক চেতনা। পাশ্চাত্য দেশের স্বাধীনতা আন্দোলন তাঁর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল। সংবাদপত্রের স্বাধীনতা আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছিলেন তিনি। এ ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্টে তিনি যে আবেদন পাঠান তাকে ‘অ্যারিওপ্যাজিটিকা অব ইণ্ডিয়া’ বলে উল্লেখ করেছেন সোফিয়া ডবসন কলেট। ১৮২৭ সালে জুরি রেগুলেশনে যে ধর্মীয় বিভাজন রীতি গ্রহণ করা হয়েছিল, তার প্রতিবাদ করেন তিনি। উত্তরাধিকার আইন সংক্রান্ত আন্দোলনেও সক্রিয় ছিলেন রামমোহন।
দ্রষ্টব্য: মহাত্মা রাজা রামমোহন রায়ের জীবনচরিত / নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়। রামমোহন সমীক্ষা / দিলীপকুমার বিশ্বাস। রামমোহন ও তৎকালীন সমাজ ও সাহিত্য / প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়। রামমোহন ও ব্যক্তি স্বাধীনতা / সুরজিৎ দাশগুপ্ত। রামমোহন চর্চা : ইতিহাসে বঞ্চনা ও অবহেলা / নির্মলা বাগচী। রামমোহন রায় : সামাজিক ও অর্থনৈতিক প্রসঙ্গে / প্রদীপ বকসি। Life and Letters of Raja Rammohan Roy / S.D.Collet . Last Days in England of Raja Rammohan Roy / M. Carpenter . Life and Letters of Raja Rammohan Roy / (edt.) / Biswas and Ganguli .
৩. তারিণীচরণ মিত্র ( ১৭৭২-১৮৩৭)
উর্দু, হিন্দি, আরবি, ফারসি ও ইংরেজি ভাষায় সুপণ্ডিত তারিণীচরণ ১৮০১ সালে ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের হিন্দুস্তানি বিভাগে দ্বিতীয় মুনশি পদে নিযুক্ত হন। পরে তিনি এই বিভাগে প্রধান মুনশি হন। ১৮১৭ সালে যে ক্যালকাটা স্কুল বুক সোসাইটি গঠিত হয়, তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত ছিলেন তারিণীচরণ। সাধারণ সদস্য থেকে তিনি এই সোসাইটির সম্পাদক হয়েছিলেন তাঁর কর্মদক্ষতার জন্য। রাধাকান্ত দেব ও রামকমল সেনের সহযোগিতায় তিনি ছাত্রদের জন্য ‘নীতিকথা’ নামক একটি পুস্তক প্রণয়ন করেন। দরিদ্র শ্রেণির ছাত্রদের মধ্যে শিক্ষা বিস্তারের বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেন তিনি। তিনি ছিলেন গোঁড়া হিন্দু এবং ‘ধর্মসভার’ সমর্থক। ১৮৩০ সালে সতীদাহ প্রথার সমর্থনে যে দরখাস্ত পাঠানো হয় তিনি তাতে স্বাক্ষর করেন এবং সে দরখাস্তের হিন্দি ও বাংলা অনুবাদ করেন। জনসাধারণের ধর্মীয় ও সামাজিক জীবনে বিদেশি শাসকের হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে নানাভাবে প্রতিবাদ করেছিলেন তারিণীচরণ।
দ্রষ্টব্য: তারিণীচরণ মিত্র (সাহিত্যসাধক চরিতমালা ) / ব্রজেন্দ্রনাথ মিত্র। সংবাদপত্রে সেকালের কথা (১ ও ২ খণ্ড)। The Government Gazette, 15th May, 1817.
৪. ডেভিড হেয়ার ( ১৭৭৫-১৮৪২)
জন্মসূত্রে বিদেশি হলেও ডেভিড হেয়ার বাংলা ও বাঙালির আত্মার আত্নীয়। স্কটল্যাণ্ডের এক গ্রামে তাঁর জন্ম। ১৮০০ সালে তিনি কলকাতায় আসেন ও ঘড়ি ব্যবসা শুরু করেন। দীর্ঘ আঠারো বছর তিনি এই ব্যবসায়ে নিযুক্ত ছিলেন। কিন্তু তাঁর মনের তৃপ্তি ছিল না। তিনি চাইতেন এ দেশের মানুষের জন্য কিছু করতে। তাই ১৮২০ সালে তিনি তাঁর সহকারীর হাতে ব্যবসা তুলে দিয়েছিলেন। সাধারণ মানুষের সঙ্গে মেলামেশা করে তিনি বুঝতে পেরেছিলেন একমাত্র শিক্ষাবিস্তারের মাধ্যমে দেশের উন্নতি হতে পারে। ১৮১৬ সালে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি স্যার এডওয়ার্ড হাইড ইস্টকে তিনি বৈদ্যনাথ মুখোপাধ্যায়ের মাধ্যমে একটি কলেজ স্থাপনের প্রস্তাব দেন। সেই প্রস্তাব অনুসারে ১৮১৭ সালের ২০ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠিত হয় হিন্দু কলেজ। ১৮২৫ সালে ডেভিড হেয়ার এই কলেজের পরিচালন সমিতির ডাইরেক্টর হন। স্কুল সোসাইটিরও সক্রিয় কর্মী ছিলেন তিনি। ১৮১৮ সালে স্কুল সোসাইটি যে অবৈতনিক স্কুল স্থাপন করেন, তিনি ছিলেন তার ইউরোপীয় সম্পাদক। আরপুলি বাংলা স্কুল ও পটলডাঙার ইংরেজি স্কুলের পঠন-পাঠনের প্রতি তাঁর বিশেষ দৃষ্টি ছিল। স্কুল সোসাইটি যে সব দরিদ্র অথচ বুদ্ধিমান ছাত্রকে হিন্দু কলেজে ভর্তি করত, ডেভিড হেয়ার তাদের নানা রকম পুরস্কার দিয়ে উৎসাহিত করতেন। ১৮২৪ সালের ১৮ নভেম্বর স্কুল সোসাইটিকে একটি চিঠিতে তিনি জানিয়েছিলেন যে শিক্ষার আলোকপ্রাপ্ত ছাত্ররাই দেশের মঙ্গলসাধন করতে পারবে। আলোচনা ও বিতর্কে ছাত্রদের অংশগ্রহণকে উৎসাহিত করতেন তিনি। নিয়মিত যাতায়াত করতেন অ্যাকাডেমিক অ্যাসোসিয়েশন ও জ্ঞানোপার্জিকা সভায়। ইংরেজি ভাষা শিক্ষার সঙ্গে সঙ্গে তিনি গুরুত্ব দিয়েছিলেন দেশীয় ভাষা শিক্ষাকেও। বিদেশে গ্রন্থের বঙ্গানুবাদের ব্যাপারেও তাঁর উৎসাহ ছিল। হিন্দু কলেজের কাছে হিন্দু পাঠশালার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন ১৮৩৯ সালের ১৪ জুন। ১৮৩৫ সালের ১লা জুন যে মেডিকেল কলেজ স্থাপিত হয়, তার পেছনেও ডেভিড হেয়ারের ভূমিকা ছিল। শব ব্যবচ্ছেদের ব্যাপারে তিনি ছাত্রদের উৎসাহিত করতেন। নিজে খ্রিস্টধর্মের অনুরাগী হলেও এ দেশে খ্রিস্টান মিশনরিদের ভূমিকার সমালোচনা করেছেন তিনি। এ জন্য খ্রিস্টান মিশনরিরা তাঁকে পছন্দ করতেন না। এমন কি খ্রিস্টান সমাধিস্থলে তাঁকে সমাধিস্ত করতে দেওয়া হয় নি। সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার সমর্থক ছিলেন ডেভিড হেয়ার। ইস্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানির শোষণ ও বৈষম্যমূলক কাজের তিনি প্রতিবাদ করেছেন। ১৮৩৯ সালে ইংল্যাণ্ডে যে ব্রিটিশ ইণ্ডিয়া সোসাইটি গঠিত হয়, তার সমর্থনে কলকাতার সভায় উপস্থিত ছিলেন তিনি।
দ্রষ্টব্য: ঊনবিংশ শতাব্দীর বাংলা / যোগেশচন্দ্র বাগল। ডেভিড হেয়ার / প্যারীচাঁদ মিত্র।
৫. রসময় দত্ত ( ১৭৭৯-১৮৫৪)
কলকাতার রামবাগানের এক ধনী, অভিজাত পরিবারে রসময় দত্তের জন্ম। সংস্কৃত, আরবি, পারসি ও ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা ছিল তাঁর। এ দেশে ইংরেজি শিক্ষা বিস্তারে তাঁর উল্লেখযোগ্য ভূমিকা ছিল। হিন্দু কলেজের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা তিনি। ১৮১৯ সালে দেশীয় ভাষা শিক্ষার জন্য যে হিন্দু কলেজ পাঠশালা স্থাপিত হয়, সেখানে তিনি ছিলেন প্রসন্নকুমার ঠাকুরের সহযোগী। তিনি কাউন্সিল অব এডুকেশন ও সংস্কৃত কলেজের সম্পাদকও ছিলেন কিছুকাল। কলকাতা স্কুল বুক সোসাইটি ও কলকাতা স্কুল সোসাইটির সদস্য হিসেবে তিনি শিক্ষাবিস্তারে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেন। তবে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের প্রতি তাঁর অনীহা ছিল। তাঁর বিরুদ্ধতার জন্য গৌড়ীয় সমাজে কোন রাজনৈতিক আলোচনা করা হত না। কিন্তু দেশের রাজনৈতিক জীবন থেকে তিনি একেবারেই যে বিচ্ছিন্ন ছিলেন, তা নয়। কলকাতার ভিতরে ডাকমাশুল প্রবর্তনের বিরোধিতা করেন, বিরোধিতা করেন এ দেশকে ইংরেজের উপনিবেশ করার বিরুদ্ধে। তিনি ছিলেন সংবাদপত্রের স্বাধীনতার সমর্থক; কারণ, তাঁর মতে, সংবাদপত্র হল সাধারণ মানুষ ও সরকারের মধ্যে যোগসূত্র।
দ্রষ্টব্য: সংবাদপত্রে সেকালের কথা (১ম খণ্ড) / ব্রজেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়। The Modern History of Indian Chiefs, Rajas and Zaminders (part 2)
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct