আপনজন ডেস্ক: চ্যাম্পিয়নস লীগ, ইউরোপা লীগ ও কনফারেন্স লীগে অংশ নেয়া ক্লাবগুলোর আয়ের তালিকা প্রকাশ করেছে উয়েফা। গত মৌসুমের ইউরোপিয়ান টুর্নামেন্টগুলো থেকে সর্বোচ্চ প্রাইজমানি উপার্জনের কৃতিত্ব দেখিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। ২০২১-২২ মৌসুমে উয়েফা আয়োজিত টুর্নামেন্ট থেকে মোট ২০০ কোটি ইউরো প্রাইজমানি আয় করেছে ইউরোপিয়ান ক্লাবগুলো। তার মধ্যে চ্যাম্পিয়নস লীগ জেতা রিয়াল মাদ্রিদের আয় সর্বোচ্চ ১৩ কোটি ৩৭ লাখ ইউরো। যা ভারতীয় মুদ্রায় ১২হাজার কোটি টাকার সমান। এই তালিকায় দুইয়ে লিভারপুল। ২০২১-২২ মৌসুমে ১২ কোটি ইউরো আয় করেছে ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগের ক্লাবটি। তিনে থাকা বায়ার্ন মিউনিখের আয়া ১১ কোটি ইউরো। ১০ কোটি ৯০ লাখ ইউরো আয় করে তালিকার চতুর্থ স্থানে প্রিমিয়ার লীগের আরেক ক্লাব ম্যানচেস্টার সিটি। গত মৌসুমে ৯ কোটি ২০ লাখ ইউরো উপার্জন করে পিএসজি।
সবচেয়ে কম অর্থ আয় করেছে মলদোভান ক্লাব শেরিফ তিরাসপোল। গত মৌসুমে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়নস লীগে খেলতে আসা দলটির আয় ২ কোটি ৩৭ লাখ ইউরো। কিছু বিষয় মেনে ক্লাবগুলোর এই আয় হিসাব করা হয়- গ্রুপপর্বের আয়, সম্প্রচারস্বত্বের ভাগ, জয়ের বোনাস এবং উয়েফার টুর্নামেন্টে অতীত সাফল্যে প্রাপ্ত অতিরিক্ত অর্থ। গত মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লীগে অংশ নিয়ে ১ কোটি ৫৬ লাখ ইউরো আয় করে রিয়াল মাদ্রিদ। শেষ ষোলো পেরিয়ে ৯৬ লাখ ইউরো, কোয়ার্টার জিতে ১ কোটি ৬ লাখ ইউরো, সেমিফাইনাল জিতে ১ কোটি ২৫ লাখ ইউরো এবং ফাইনাল জিতে ২ কোটি ইউরো জেতে রিয়াল। ইউরোপিয়ান ক্লাবগুলোর ‘কো এফিশিয়েন্ট’ নামক একটি র্যাঙ্কিং তালিকা আছে। এই তালিকায় পঞ্চম স্থানে রিয়াল। গত মৌসুমে ছিল চতুর্থ স্থানে। র্যাঙ্কিংয়ে তারতম্যের ওপর এই খাতে উয়েফার দেয়া প্রাইজমানির পরিমাণ নির্ভর করে। গত মৌসুমে এখান থেকে ৩ কোটি ৬৩ লাখ পেয়েছে রিয়াল। আর ‘মার্কেট পুল’ থেকে লস ব্লাঙ্কোদের আয় ১ কোটি ৪৩ লাখ পাউন্ড। উয়েফা আয়োজিত টুর্নামেন্টে অংশ নেয়া প্রত্যেক দেশের দলগুলোর জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ থাকে। এই খাতকে মার্কেট পুল বলে। উয়েফা প্রদত্ত অর্থ সেই দেশের ফুটবল ফেডারেশন অংশ নেয়া ক্লাবগুলোর মধ্যে ভাগ করে দেয়। গত মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লীগের শেষ ষোলোয় স্পেন থেকে শুধু রিয়ালই ছিল। এ কারণে এই খাতে বেশি আয় হয়েছে লস ব্লাঙ্কোদের।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct