নাকিব উদ্দিন গাজী, রায়দিঘী, আপনজন: স্বামীকে হারানোর ১০ বছর পর দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে গিয়ে বিধবা ভাতা পেলেন সত্তরোর্ধ্ব বৃদ্ধা। জানা যায়, সুন্দরবনের রায়দিঘি বিধানসভার খাঁড়ি গ্রামের বাসিন্দা ইনকুমারি দাস (৭২) তার স্বামীকে হারিয়েছেন গত ২০১১ সালে এমনকি তার কোন সন্তান নেই। তাই গত ১০ বছর ধরে সরকারি কোন ভাতা না পেতে অসহায়ভাবে দিন কাটছিলো তার। বৃহস্পতিবার রায়দিঘি বিধানসভার মথুরাপুর দু’নম্বর ব্লকের খাঁড়ি অঞ্চলে চলছিলো দুয়ারে সরকার শিবির। আর সেই দুয়ারে সরকার শিবিরে লাইনে দাঁড়ায় ওই বৃদ্ধা। তখনই শিবির পরিদর্শনে যান মথুরাপুর ২ নম্বর ব্লকের বিডিও এম ডি নাজির হোসেন। লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা সাধারণ মানুষের সাথে কথা বলতে গিয়ে তিনি জানতে পারেন সত্তরোর্ধ্ব বৃদ্ধা মহিলা সহায়-সম্বলহীন ভাবে ১০ বছর ধরে কোন সরকারি ভাতা পাচ্ছেন না। আর এই খবর জানার পরেই তৎক্ষণাৎ ওই বৃদ্ধা মহিলার বিধবা ভাতার ব্যবস্থা করেন মথুরাপুর দু নম্বর ব্লকের বিডিও এমডি নাজির হোসেন। ১০ বছর পর দুয়ারের সরকার ক্যাম্পাসে বিধবা ভাতা পেয়ে বেজায় খুশি অসহায় বৃদ্ধা মহিলা। ইনকুমারি দাস বলেন প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও দীর্ঘ কয়েক বছর কেটে গেছে আমি কোন সরকারি সাহায্য পাই না এই দুয়ারে সরকারে ক্যাম্পে এসে এমনই সাহায্য পাব ভাবতেও পারিনি অভাবে দিন যায় কিছুটা হলেও এই বিধবা ভাতা পেলে অনেকটাই সুবিধা হবে। বিডিও এমডি নাজির হোসেন বলেন, এতদিন কেন বৃদ্ধা পায়নি তা জানা নেই তবে এ ধরনের মানুষ দের জন্য রাজ্য সরকার একাধিক প্রকল্প করেছে যাতে সেই সব প্রকল্প থেকে কোন মানুষ বাদ না যায় সেই কারণে দুয়ারে সরকার শিবিরের মাধ্যমে একাধিক প্রকল্পের মাধ্যমে মানুষ পরিষেবা পাচ্ছেন। সমস্ত মানুষ যাতে সুবিধা পায় সেদিকে নজর দেওয়া হয়েছে। তবে বিধবা ভাতা পেয়ে অসহায় বৃদ্ধা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অকুণ্ঠ ধন্যবাদ জানান।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct