নিজস্ব প্রতিবেদক, হাওড়া, আপনজন: হাওড়ার শিবপুর অঞ্চলে শান্তি ও সম্প্রীতি রক্ষার আবেদন নিয়ে রবিবার বিকেলে এক শান্তি মিছিলের ডাক দিয়েছিল হাওড়া জেলা বামফ্রন্ট। বিকেল ৪-৩০ টায় সিপিআই (এম ) হাওড়া জেলা দপ্তরের সামনে থেকে শুরু হয়ে ওই মিছিল কাজীপাড়ায় শেষ হবার কথা ছিল। কিন্তু প্রশাসনের অনুমতি না মেলায় এদিন মিছিলের পরিবর্তে প্রতিবাদ সভা করেন বামপন্থী নেতৃত্ব। সিপিআই(এম) এর রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম, পার্টির পলিটব্যুরোর সদস্য সূর্যকান্ত মিশ্র সহ অন্যান্যরা এদিন উপস্থিত ছিলেন। মহ: সেলিম এদিন বলেন, পুলিশ ইচ্ছে করে দাঙ্গাবাজদের সুযোগ করে দিচ্ছে। আর যেখানে বামেরা শান্তির কথা বলছে পুলিশ তাদের আটকাচ্ছে। এতো পুলিশ এতো র্যাফ মিছিল আটকানোর জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে। অথচ দাঙ্গাবাজদের বিরুদ্ধে তাদের ব্যবহার করা হচ্ছেনা। সেলিম আরও বলেন, যেখানে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা তৈরি করে আরএসএস, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ বা সাম্প্রদায়িক শক্তি; বিজেপি বা তৃণমূল বা তাদের মন্ত্রী, এমএলএ বা এমপিরাও যুক্ত থাকতে পারেন। যেখানে দাঁড়িয়ে সাম্প্রদায়িক উন্মাদনা তৈরি হয় সেখানে আমরা বামপন্থীরা সেই উন্মাদনা প্রশমিত করতে চাই। সেখানে যাতে কোনও উত্তেজনা না তৈরি হয় তার ব্যবস্থা নিয়েছে বামেরা। পুলিশ ইচ্ছে করে দাঙ্গাবাজদের সুযোগ করে দিচ্ছে। আর যেখানে বামেরা শান্তির কথা বলছে পুলিশ তাদের আটকাচ্ছে। এই সময় দাঁড়িয়ে আমরা চোরেদের বিরুদ্ধে জোচ্চোরদের বিরুদ্ধে লড়াই করছি। হাওড়ায় দাঙ্গার পরিবেশ তৈরি হোক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চেয়েছেন। আমরা বামেরা তাতে সেখানে জল ঢালতে এসেছি।এদিন গরু পাচার সংক্রান্ত ঘটনা নিয়ে অন্য এক প্রশ্নের উত্তরে মহম্মদ সেলিম বলেন, শক্তিগড়ে খুনের মধ্যে দিয়ে এটা প্রমাণিত হয়েছে কয়লা পাচার আর গরু পাচার যোগ, বিজেপি আর তৃণমূল যোগ, দিলীপ ঘোষ আর অনুব্রত মণ্ডল যোগ এখানে স্পষ্ট হয়েছে।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct