৬২৯ খ্রিস্টাব্দে নির্মিত চেরামন জুমুয়া মসজিদ এর স্রোত রুদ্ধ করেছে ও করছে এক শ্রেণির মৌলবীরাই। Cheraman Juma masjid is the first mosque to be built in India. It was built by the famous pious, philanthropic and wise ruler of Kerala , Maharaja Cheraman Perumal. This oldest masjid which is famous in the world as, Cheraman Perumal juma masjid is located in kudungallur, Kerala. Neumerous Indian living in coastal areas of Kerala accepted the principles of the new religion and converted to Islam. The Brahmin King Cheraman Perumal was the first Indian to convert to Islam based on a historical event. (https//en.m.Wikipedia.org) This masjid built in 629 AD. (indiatvnews.com). অখন্ড ভারতবর্ষে ৬২৯ খ্রিষ্টাব্দে প্রথম মসজিদ নির্মিত হওয়ার পর বর্তমান সময় পর্যন্ত “ ২০২৩-৬২৯=১৩৯৪ বৎসর অতিবাহিত হয়েছে । মুসলিম শাসকবর্গ দ্বারা যত না ইসলাম প্রচার হয়েছে তার চাইতে বেশী প্রচার হয়েছে আল্লাভীরু সাধারন জ্ঞানী ব্যক্তিবর্গ দ্বারা। বস্তুত তাদের সংখ্যা নগন্য। তাঁরা নিঃস্বার্থভাবে অক্লান্ত পরিশ্রম করায় কাতারে কাতারে মানুষ ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন। বলা বাহুল্য এই সময় সংযোগ ব্যবস্থা ছিল অতি দুর্বল - কাঁচা রাস্তা গরু গাড়ি বা পায়ে হেটে এক মহাল্লা থেকে আর এক মহাল্লা যেতে সময় লাগত কয়েক ঘন্টা, ছিল পানীয় জলের অভাব খাদ্যের অভাব কিন্তু আম জনতার মধ্যে ছিল না বিদ্বেষ ,ছিল না ঘৃনা। মানুষ পাপকে ঘৃনা করত মানুষকে নয়।ইসলামের মৌলিক শিক্ষা সেটাই। আল্লাহর রাসুল মুহাম্মাদ (স.) মাক্কায় চরম মাত্রায় অত্যাচারিত হয়ে বিতাড়িত হন, পালিয়ে বাঁচেন মদিনায় ৬২২ খৃষ্টাব্দে, কিন্তু তিনিই যখন ৬৩০ খৃষ্টাব্দে মাক্কা জয় করেন তখন তাঁর উপর অত্যাচারকারী সেখানকার জনগণকে হাতের মুঠোই পেয়েও সকলকে ক্ষমা করে দেন। ভারতবর্ষে মুসলিমদের আগমনের পর থেকে ১৭৫৭ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত অমুসলিম রাজায় রাজায়, অমুসলিম মুসলিম রাজা বাদশায়, মুসলিম মুসলিম বাদশায় বাদশায়, রাজ ক্ষমতা দখলের রক্তক্ষয়ী দ্বন্দ্ব হয়েছে শত সহস্রবার — ( ইব্রাহিম লোদীকে যুদ্ধে পরাজিত করে বাবর ভারতের মসনদে বসেন- কোনো অমুসলিম রাজাকে নয়।)
———একটি ঘটনা———
আমি ১৯৭৯সালে প্রথম দিল্লী যাই একদিন ঘুরতে গিয়ে পথ ভুলে যাই ,এক অমুসলিম ঠেলাওলাকে পথ জিজ্ঞাসা করলে তিনি চেনেন না বলার পর আমরা প্রায় কোয়াটার কি.মি. ভুলপথে চলার পর দেখি লোকটি পিছন থেকে দৌড়াচ্ছেন এবং ডাকছেন আমরা দাঁড়ালাম তিনি কাছে এসে সঠিক রাস্তা বাৎলে দিলেন।এ ঘটনায় আমি উচ্ছ্বসিত হয়েছিলাম ।আব্বা তাঁর দিল্লীতে অবস্থানের অভিজ্ঞতায় আমাকে শুনিয়েছিলেন “ইংরেজ আমলেও দিল্লীতে হিন্দু মুসলিম সম্পর্ক ছিল সৌহার্দ্যপূর্ণ।” মুসলিম আমলেও আমজনতার মধ্যে হিন্দু মুসলিম আপস দ্বন্দ্বের নজির দেখা যায় না। ইংরেজ আমলে ১৭৫৭ থেকে ১৮৫৭ পর্যন্ত এক শত বৎসর হিন্দু মুসলিমে উল্লেখযোগ্য কোনো ফাটল হয়নি বরং ইংরেজকে শোষক হিসাবে চিহ্নিত করে হিন্দু মুসলিম যৌথভাবে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ১৮৫৭ সালে মহা বিদ্রোহ ঘটায়। এর পর ইংরেজ, হিন্দু ও মুসলিমদের মধ্যে বিভেদের বীজ বোনা শুরু করে।বিচক্ষণ ভারতীয় নেতাগণ বিলক্ষণ তা বুঝতে পেরে সহনশীলতার সহিত যৌথ উদ্যোগে ইংরেজ তাড়ানোর সংকল্পে অটল থাকেন। ইংরেজ বিতাড়িত হল বটে তবে ভারতবর্ষ অখন্ডভারত রইল না।
———— ইংরেজ দ্বারা রোপিত বিদ্বেষ শুধু “হিন্দু মুসলিমে” সীমাবদ্ধ থাকেনি বরং “মুসলিমে মুসলিমে” সে বিদ্বেষ মুসলিম জাতির কবর খুঁড়তে থাকে । দেওবন্দীর সঙ্গে ব্রেলভীর আহলেহাদিসের সঙ্গে হানাফির দ্বন্দ্বে ও বিদ্বেষে ভিতর থেকে খোঁকলা হয়ে যায় মুসলিমরা। ইদানিং আহলে হাদিস ও সালাফীর মতভেদ গোদের উপর বিষ ফোঁড়া। ফল স্বরুপ বিভিন্ন দল উপদল তৈরী হয়ে ঘৃণা বিদ্বেষ অসহিষ্ণু মানসিকতা জাতিকে কুরে কুরে খাচ্ছে। ———
মুসলিমদের কথা বলি— ১৮৫৭ এর পূর্বে যাঁরা মুসলমান হওয়ার হয়ে গেছে। এঁদেরকে ইসলামী আদব কায়দা শহর ভিত্তিক খুব সীমিতভাবে দেওয়ার ব্যবস্থা হলেও ৯০% ভাগ গ্রামে গঞ্জে বসবাসরত ইসলামে দীক্ষিত মানুষেরা ইসলামী তরবিয়াত (ইসলামী আদব কায়দা) থেকে বন্ছিত থেকে গেছে। ফলে তারা ইসলাম পূর্ব বাপ দাদার “জড় আকিদার” প্রভাবে “কবর” পর্যন্ত পৌঁছে যায়।কবরকে মার্বেল পাথর দিয়ে সুন্দর করে বাঁধিয়ে ঘর তৈরী করে , মসজিদ আবাদের পরিবর্তে “কবর” আবাদে মশগুল হয়ে পড়েছে যা ইসলামে অত্যন্ত আপত্তিজনক কর্ম। ———-
কালক্রমে স্বার্থান্বেষী ধর্মগুরুর আগমন ঘটে — যারা মন গড়া “অসিলা” (মাধ্যম) এর প্রচলন করে স্বর্গে নিয়ে যাওয়ার উকিল সাজেন। শুরু হয় ধর্মের দোহায় দিয়ে সাধারণ মুসলিমকে ঠকিয়ে বিনা পয়সার ব্যবসা।কেউ কবরের অসিলা, কেউ পীরের অসিলা, আবার কেউ মানহাজের অসিলা নিয়ে জন দরবারে হাজির হন । সকলেই জান্নাতের টিকিট নিয়ে ঘুরছেন আর অশিক্ষিত মুসলিমদেরকে তাদের চতুর্দিকে ঘুরাচ্ছেন। ——- কবর কেন্দ্রিক ব্যবসা, পীর মুরিদীর ব্যবসা তো চলছে দীর্ঘদিন ধরেই। ————— আরও কিছু অসিলা আবিষ্কার করা হয়েছে। তার মধ্যে- একটি হচ্ছে “দরুদ শরীফ” এর অসিলা। আর একটি হচ্ছে “সালাফী মানহাজ” এর অসিলা।অর্থাৎ সালাফী মানহাজের অসিলা বিষয়টিকে হানাফী অসিলার মত তুলে ধরা হচ্ছে যেন সালাফী মানহাজই জান্নাতে পৌঁছে দেবে আমল বা কর্মের কোনো প্রয়োজন নেই। এ সব অসিলা , সিলসিলা ও মানহাজ দ্বারা অশিক্ষিত আম জনতাকে আষ্টেপিষ্টে মৌলবীগণ বেঁধে রেখেছেন।এবং মনমত অর্থ উপার্জনের ব্যবসায় ব্যবহার করছেন ।(ঘৃনিত ব্যবসা, ঘৃনিত উপার্জন।) ——— কোনো কোনো মৌলবী সাহেব আহলে হাদিস নাম ধারন করে হানাফীর বিরুদ্ধে জালসা জলুসে অশালীন বাক্য ব্যবহারকে “ইসলাম প্রচার” বলে আহলে হাদিস জনতাকে বোকা বানিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা কামাচ্ছেন , অনুরূপ কোনো কোনো হানাফী মৌলবী সাহেব আহলে হাদিসের বিরুদ্ধে অশালীন বাক্য ব্যবহার করাকে “জিহাদী কাজ” বলে হানাফী আম জনতাকে বোকা বানিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা উপার্জন করছেন। ———— সকল ধর্মেরই অশিক্ষিত জনগণ ধর্মের নামে উস্কানীমূলক কথা বেশী পছন্দ করে এবং ধর্মের নামে উত্তেজিত হওয়াকে পূন্যের কাজ মনে করে ; যদিচ তারা স্বয়ং ধর্মীয় বিধান নিত্যদিন লংঘন করে চলে। এভাবে আম জনতাকে উত্তেজিত করে অনেক ধর্ম দুনিয়ায় টিকে আছে। ইসলাম এসব সমর্থন না করলেও স্বঘোষিত মুসলিম ধর্মগুরুগণ সে পথেই চলেছেন এবং ভক্তদের চালাচ্ছেন।সালাফী মানহাজের প্রবক্তাগণও সে পথেরই পথিক বনেছেন। ————— কদর্য বাক্য ব্যবহারের পরিবর্তে ভদ্রনম্রভাবে কি ধর্মের কথা বলা যায় না ? অবশ্যই বলা যায় সেটাই নবীদের পথ ——فقولا قولًا لينا لعله يتذكر অর্থ- আল্লাহ মুসা ও হারুন নবীকে ফেরআউনের নিকট দাওয়াত(আহ্বান) জানানোর পদ্ধতি শিখিয়ে পাঠালেন “তোমরা দুজন তাঁর নিকট( ফেরআউনের নিকট) গিয়ে নম্রভাবে কথা বলো হয়ত সে আল্লাকে স্মরণ করবে এবং ভয় করবে ।(সুরা ত্বহা -৪৪)
দ্বিতীয়ত এক অপরের কুৎসা করে কোনো সুফল হয় না বরং যুক্তি সংগত ভাবে ভদ্রতার সহিত কথা তুলে ধরা ইসলামী নীতি। ইসলাম সদা পরিবেশ শান্ত রাখতে চায়।যেমন—আল্লাহ পাক কোরআনে বলেন— ولا تسبوا الذين يدعون من دون الله فيسبوا الله عدوًا بغير علم অর্থ— আল্লাহ ব্যতিত অন্যকে যারা ডাকছে ওদের গালি দিও না; কেননা অজ্ঞতা বশতঃ দুষ্মনি করে ওরাও আল্লাকে গালি দিবে ।(সুরা আনআম -১০৮)। কোরআনের এ কথায় বোঝা যাচ্ছে প্রতিপক্ষের সঙ্গে শালীনতা বজায় রেখে কথা বলা, আলোচনা করা ইসলামী আদর্শ।———————— কিন্তু কোরআনে থাকলে কি হবে , — আহলে হাদিসরা খুঁজছেন হাদিসে আছে কি না ? হানাফীরা খুঁজছেন ফিকায় আছে কি না ? এঁদের ধ্যান ধারনা অতি দুর্ভাগ্যজনক ।———————- আহলে হাদিস বক্তার ভাষা এবং হানাফী বক্তার ভাষা শুনুন এবং কোরআনের শিক্ষার সঙ্গে মৌলবী বক্তাদের আচরণ মিলিয়ে দেখুন এঁরা কার আদর্শ মেনে চলছেন ?———-মুসলিম দেশ সমূহের উদাসীনতা এবং মুসলিম সংগঠন এবং মৌলবী সাহেবদের মতভেদের কচকচানিতে মুসলিমদের চরিত্রগুণ “ইসলামী মানদন্ডে” তলানিতে পৌঁচেছে।—————নিম্ন বর্ণিত বিষয়ে ইসলামী মূল্য বোধের অনুসারী হিসাবে মুসলিম এবং অমুসলিম দেশের “অর্থনৈতিক সুযোগ সুবিধা, অর্থনৈতিক স্বাধীনতা, ভ্রষ্টাচার , কোরাপশেন, আর্থিক বিন্যাস ও মানবতা” গুলির মূল্যায়নে মুসলিম দেশের মান অমুসলিমদের তুলনায় নিম্নস্তরে গিয়ে পৌঁচেছে—এক্ষেত্রে শাসক দলের যেমন ভূমিকা আছে অনুরূপ মৌলবী ধর্মগুরুদের ভূমিকাও অনস্বীকার্য। Most Islamic countries are non Muslims, a study by s. Rahman and Hossain Askari from G.W. University published in the global economy journal vol-10 drew surprising conclusion .
————— The criteria - economic opportunity economic freedom corruption financial system and human rights were used to measure the level of Islamicity. “ Many non Muslim countries did much better in keeping to Islamic values. Newzeeland first and luxenburg came second.The top 37 countries in the study were all non Muslims.”উক্ত তথ্যানুযায়ী বোঝা যাচ্ছে মুসলিম দেশগুলি রাজ ক্ষমতা কব্জায় রাখতে ইসলামের নাম নিলেও ইসলামের বাস্তবায়নে অপারগ অথবা আগ্রহী নয়।———একদা হজরত উমর (রা.) বলেছিলেন কারো শুধু নামায ও রোযা দেখে মন্তব্য করো না দ্যাখো সে কথা বলছে তখন “সত্য কথা” বলছে কি না, “আমানত” রাখলে রক্ষা করছে কি না এবং “সুস্থ অবস্থায়” পরহেজগারিতা (শরীয়ত বিরোধী কাজ থেকে নিজেকে) রক্ষা করছে কি না। “নামায ও রোযার” সঙ্গে এ তিনটি গুণ থাকলে বলো সে ভাল। অবাস্তব খোয়াব বা স্বপ্ন এর পরিনতি: “কবর ও পীরের অসিলাধারী বা সিলসিলার অসিলাধারী” এলাকার আম মুসলমান এর চারিত্রিক বৈশিষ্ঠের মধ্যে এবং “সালাফী মানহাজের”অসিলাধারী আম মুসলমান এর চারিত্রিক বৈশিষ্ঠের মধ্যে কোনো পার্থক্য কি দেখতে পাওয়া যায়? যায় না। “কলুটোলার নাখোদা” মসজিদের আশপাশের হানাফী মুসলমানের চরিত্র ব্যবহার চলাফেরা এবং তার নিকটবর্তী “কলুটোলার লালমসজিদের” আশপাশের আহলে হাদিস মুসলমানের চরিত্র ব্যবহার চলাফেরায় কি পার্থক্য দেখা যায়? কিংবা পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতায় কি পার্থক্য দেখা যায় ? দেখা যায় না। আহলে হাদিসরা উত্তম চরিত্রের, হানাফীরা অধম চরিত্রের বা তার বিপরীত তো মনে হয় না।এ চিত্র যেমন শহরে তেমনি গ্রামে গন্জে।পীর মুরশিদ ও মানহাজধারী মৌলবী সাহেবরা জোরে আমিন আর আস্তে আমিন প্রমানের জন্য শত শত বৎসর ধরে যে শ্রম ব্যয় করে চলেছেন তার কিন্চিত শ্রম যদি মুসলিমদের চরিত্র গঠনের জন্য ব্যয় করতেন তবে হয়ত মুসলিম সমাজের চরিত্র বদলে যেত। “কিন্তু ভিখারী ভিক্ষুককে কি দিবে ? কি শেখাবে ?”
——————- মৌলবী সাহেবগণ অসিলা আর মানহাজ নিয়ে টানাটানিতে ব্যস্ত থাকায় “চেরামন মসজিদের” গতি মোঘল আমলে স্থিতিশীল হয়ে ১৮৫৭ সালে রুদ্ধ হয়ে গেছে। “পুকুরের জল নিজেরা ঘোলা করায় কেউ আর সে জল পান করতে আসে না।” এক সময় আহলে হাদিসের সংগঠনের উপর বিশেষ শিক্ষিত মহলের আস্থা ছিল কিন্তু বর্তমানে সালাফী ঢেউয়ে তার মান ধ্বংস হয়েছে। সালাফী মানহাজের প্রচারকের মুসলিম নামেই আপত্তি , তিনি বলেন “মুসলিম বলে পরিচয় দিতে হবে এরূপ দলিল পাওয়া যায় না।” পরিচয় দিতে হবে সালাফী বলে আহলে হাদিস বলে আহলে সুন্নাহ অল জামাত বলে।ইনিই নাকি সালাফীদের নিকট বিখ্যাত ইসলামী গবেষক। ইহা যে সম্পূর্ণ কোরআন বিরোধী কথা তা আল্লার কালামে শুনুন — هو سماكم المسلمين من قبل وفى هذا ليكون الرسول شهيدًا عليكم وتكونوا شهداء علي الناس فاقيموا الصلاة آتوا الزكاة واعتصموا بالله هو موآكم فنعم المولي ونعم النصير (سورة الحج-٧٧،٧٨) অর্থ- তিনি(আল্লাহ) তোমাদের নাম রেখেছেন মুসলেমিন পূর্বেও এবং ইহাতেও(এই কোরআনেও) যেন রাসুল তোমাদের জন্য স্বাক্ষী হন এবং তোমরা মনুষ্য সমাজের জন্য স্বাক্ষী হও।……… সালাফী মানহাজের প্রচারক আল্লার রাখা নাম বাতিল করেন ।আমি ভিডিওটি দেখেছি কিছু টুপিধারী অন্ধভক্ত হা করে তার দিকে তাকিয়ে আছেন।কোরআন বিরোধী কথা বলেও ইনি এক শ্রণির মুসলিমদের পীর । এক মুর্শিদ যখন নবীর মুখে গন্ধ ছিল বলে নবীর শানে অপমান সূচক কথা বলছেন তখন অন্ধভক্তরা তাঁর সমর্থনে তৃপ্তি লাভ করছেন। আর একজন মুর্শিদ ফতওয়া দেন ওবিসি করলে মুসলমান থেকে খারিজ । এ সব আচরণে এটাই প্রকাশ পায় যে কোরআন ও হাদিসের পরিবর্তে যার মুখে যা আসছে তাই বকে চলেছেন । এ ভাবে সালাফী মানহাজের অসিলাতেও এক অপরের সঙ্গে গরমিল দেখা যাচ্ছে; যেমন হানাফী মাযহাব মানলেও দেওবন্দী ও ব্রেলবীতে মতভেদ দেখা যায়। ———— সালাফী মানহাজের মৌলবী সাহেবরা ফরয নামায বাদ দোয়ার বিরুদ্ধে ঝড় তোলার পর কেউ বলছেন পেপসি হারাম কেউ বলছেন পেপসি হালাল ; যারা হালাল হারাম বুঝেন না তারা জাতিকে কি শিক্ষা দিবেন । আবার কেউ বলছেন মুসলিম বলা অবৈধ ইত্যাদি।এর পরেও কি বলা যায় সালাফী মানহাজের লোকগুলি সঠিক লক্ষ্যে ঘুরছেন ? আল্লার দেওয়া নাম মুসলিম যদি পছন্দ না হয় তবে কি আর বলার থাকতে পারে ? এক শ্রেণির মৌলবী সাহেব মদিনার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি থেকে পড়ে এসে গবেষণা করে বলছেন সাহারীর এবং ইফতারির সময় বলা মহা অপরাধ। —————— আপনি যদি ভাবেন দেখবেন মৌলবী ধর্মগুরুগণ এবং মুসলিম রাষ্ট্রনায়কগণ একই ধারায় অশিক্ষিত মুসলিমদের বোকা বানিয়ে আপন আপন জায়গায় রাজ করছে। ————— যে সব দেশ প্রাকৃতিক সম্পদে মালামাল: সে দেশগুলির কোথাও কুরআন ভিত্তিক রিসার্চ সেন্টার নেই।আল্লাহ বলেন ان في خلق السماوات والارض واختلاف اليل والنهار لآيات لاولي الالباب———— ويتفكرون في خلق السماوات والارض. আল্লাহ জ্ঞানীদের সংজ্ঞায় দুটি বৈশিষ্ট বলেছেন —এক- সর্বাবস্থায় আল্লাকে স্মরণে রাখা, দুই- আকাশ ও পৃথিবী নিয়ে গবেষণা করা। আল্লাহ যখন নামায রোযার সঙ্গে পৃথিবী ও আকাশ নিয়ে গবেষণা করতে বলছেন তখন এক শ্রণির মৌলবীগণ বলছেন “ইহা তো হাদিসে নেই ।” “হাদিসে আছে কোরআন পড়ার কথা”-ফলে দুনিয়া ব্যপি কোরআন তেলাওয়াতের প্রতিযোগিতা হচ্ছে , সে হোক অবশ্যই ইহা পূন্যময় কাজ , কিন্তু আল্লাহ জ্ঞানবান হওয়ার জন্য যে কাজ করতে বললেন তার মূল্যও তো দেওয়া কর্তব্য।/ আর একশ্রেনির মৌলবী সাহেবরা “কবর” এর উপর সুরম্য অট্টালিকা তৈরী করে কবরবাসী জীবিত না মৃত সে গবেষণায় মত্ত। মুসলিম ধর্মগুরুগণ সকলে মিলে জগাখিজুড়ি পাকিয়ে রাখার কারনে চেরামনের জুমুয়ার খুতবায় যাঁদের পূর্বপুরুষ ইসলাম ধর্ম গ্রহন করেছিলেন তাঁদের পরবর্তী প্রজন্ম সত্যধর্মের খোঁজে আজ অন্য পথে ঘুরে ফিরছেন।মুসলিম ধর্মগুরুদের আপস কোন্দল যেন ধর্ম প্রচারের পথে,পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। জানি না এসবের নিরসন হবে কি না।
ইসহাক মাদানী
লেখক অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডের সদস্য
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct