নাজিম আক্তার, হরিশ্চন্দ্রপুর, আপনজন: তিলে তিলে জমানো পরিশ্রমের টাকা জমা রেখেছিলেন ব্যাঙ্কে। হঠাৎ ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে উধাও ১৩ হাজার টাকা।সাইবার ক্রাইম পুলিশের দ্বারস্থ যুবক।ব্যাঙ্কে গ্ৰাহকদের টাকা জমা রাখার নিরাপত্তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।এই নিয়ে জনসাধারণের মধ্যে শুরু হয়েছে আতঙ্ক।জানা যায় ভুক্তভোগী ওই ব্যাঙ্ক গ্রাহকের নাম ওয়াশিম আক্তার(২৭),বাড়ি হরিশ্চন্দ্রপুর থানার মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাংরুয়া গ্রামে। এতগুলো টাকা ব্যাঙ্ক থেকে উধাও হয়ে যাওয়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন সে। ভুক্তভোগী ব্যাঙ্ক গ্ৰাহক ওয়াশিম আক্তার জানান, হরিশ্চন্দ্রপুর থানার তুলসীহাটা ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্ক ও বঙ্গীয় গ্রামীন বিকাশ ব্যাঙ্কের শাখায় তার একটি করে অ্যাকাউন্ট রয়েছে। অভিযোগ,গত ৩ মার্চ রাত সাড়ে ১০ টা নাগাদ বঙ্গীয় গ্রামীন বিকাশ ব্যাঙ্ক শাখার অ্যাকাউন্ট থেকে ৩ হাজার টাকা ও ১৭ মার্চ ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্ক শাখার অ্যাকাউন্ট থেকে ১০ হাজার টাকা কেউ বা কারা তুলে নিয়েছে। মোবাইলে দেওয়া মেসেজ নিয়ে সে ওই দুই শাখার ব্যাঙ্ক ম্যানেজারের কাছে তথ্য জানতে ছুটে যায়।ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্ক ম্যানেজার নিসান্ত ভাসকার ব্যাংক স্টেটমেন্ট দিয়ে সাহায্য করলেও বঙ্গীয় গ্রামীন বিকাশ ব্যাঙ্ক ম্যানেজার সুবীর মুখার্জী ব্যাংক স্টেটমেন্ট দিতে প্রথম দিকে অস্বীকার করেন। এরপরেই ব্যাঙ্ক গ্রাহক ওয়াশিম হরিশ্চন্দ্রপুর থানা ও মালদা সাইবার ক্রাইম পুলিশের দ্বারস্থ হয়।ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্কের দেওয়া স্টেটমেন্টে দেখা যাচ্ছে বিহার রাজ্যের কাটিহার জেলার মহম্মদ ইমতিয়াজ নামে এক ব্যক্তির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ওই ১০ হাজার টাকা গেছে। ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্ক ম্যানেজার নিসান্ত ভাসকার জানান, গ্রাহকরা নিজেদের ভুলের কারণে প্রতারণা স্বীকার হচ্ছেন। এতে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের কিছুই করার থাকে না।ব্যাঙ্ক বা ব্যাঙ্কের অথরাইজড সেন্টারে গিয়ে টাকা তোলার পরামর্শ দেন।ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট,আধার কার্ড নাম্বার বা মোবাইল স্ক্রীন শর্ট যেখানে সেখানে শেয়ার যাতে না করেন তার সুপরামর্শ দেন। অপরদিকে বঙ্গীয় গ্রামীন বিকাশ ব্যাঙ্ক ম্যানেজার সুবীর মুখার্জী জানান, তিনি অভিযোগ পেয়েছেন। এই শাখা থেকে তথ্য দেওয়ার মতো সিস্টেম না থাকায় তাই মালদায় অভিযোগপত্র সহ সব কাগজপত্র পাঠাতে হয়েছে। কয়েকদিনের মধ্যেই তাকে তথ্য দিয়ে দেওয়া হবে।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct