আপনজন ডেস্ক: বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পশ্চিমবঙ্গের হাওড়া শহরে রামনবমীর শোভাযাত্রা বের করার সময় দুটি গোষ্ঠীর মধ্যে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে, যেখানে বেশ কয়েকটি যানবাহনে আগুন দেওয়া হয় এবং দোকানপাট ভাঙচুর করা হয়। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ধর্নায় থাকা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, মিছিলটি কাজীপাড়া এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় এ ঘটনা ঘটে। সহিংসতার সময় বেশ কয়েকটি দোকান ও অটোরিকশা ভাঙচুর করা হয় এবং পুলিশের কয়েকটি গাড়িসহ বেশ কয়েকটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইঞ্জিন মোতায়েন করা হয়েছে। জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ শক্তি প্রয়োগ করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানা গেছে, ওই এলাকায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।হাওড়ায় রামনবমীর শোভাযাত্রার সময় সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়ানোর চেষ্টার জন্য বিজেপির সমালোচনা করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এই ঘটনায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না। বারবার বলেছি আমি রামনবমীর কোনও শোভাযাত্রায় বাধা দেব না। এ ব্যাপারে আমি পুলিশকে স্পষ্ট নির্দেশনা দিয়েছি। এক সম্প্রদায় যখন অন্নপূর্ণা পূজা উদযাপন করছে, অন্য সম্প্রদায় রমজান মাসে উপবাস পালন করছে। যাত্রার রুট বদল করা হয়েছে বলেও দাবি মুখ্যমন্ত্রীর। তিনি বলেন, এতে পুলিশ সদস্যদের সন্দেহজনক ভূমিকা পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জানা গেছে, হাওড়ার শিবপুরের যেখানে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ এবং বজরং দলের কর্মীরা একটি মিছিল বের করে। সেই মিছিল মুসলিম অধ্যুষিত কাজীপাড়া দিয়ে যাওযাকে গিলে রণক্ষেত্র সৃষ্টি হয়। যদিও পুলিশ বেশ কয়েকজনকে আটক করেছে এবং আরও তদন্ত চলছে। হিংসা প্রসঙ্গে মমতা বলেন, ‘আমার চোখ-কান খোলা। আমি সব দেখতে পাচ্ছি, আমি আগেই সতর্ক করে দিয়েছিলাম যে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ এলাকা থেকে মিছিল করা চলবে না। আমি বলেছিলাম রাম নবমীতে সমাবেশ হলে হিংসা হতে পারে।’ মমতা বলেন, মিছিলে বুলডোজার ও তলোয়ার আনার অনুমতি কে দিল? শুনেছি হাওড়ায় বুলডোজার নিয়ে জনসভায় এসেছেন। এত সাহস তারা পেল কোথায়? কে দেবে এর জবাব? আমরা কঠোর ব্যবস্থা নেব। কেন তারা (মিছিলকারীরা) রুট পরিবর্তন করল? তাদের উদ্দেশ্য ছিল অন্য সম্প্রদায়ের ক্ষতি করা। তিনি আরও বলেন, ‘পুলিশকে স্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। রুট ঠিক করা হলো, মিছিল অন্য রুটে যাওয়ার কথা ছিল না। পুলিশ অনুমতি দিলে বা অন্যায় করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমি দাঙ্গাবাজদের সমর্থন করি না, তারা বিশ্বাসঘাতক তিনি বলেন, ‘আজকের সহিংসতায় যারা জড়িত তাদের ছাড় দেওয়া হবে না। আমি দাঙ্গাবাজদের সমর্থন করি না এবং তাদেরকে দেশের শত্রু মনে করি। বিজেপি বরাবরই হাওড়াকে টার্গেট করেছে। তাদের অন্যান্য টার্গেট হল পার্ক সার্কাস এবং ইসলামপুর। সবাইকে নিজ নিজ এলাকায় সতর্ক থাকতে হবে।বিজেপির বর্ষীয়ান নেতা শুভেন্দু অধিকারী অবশ্য এই অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে অভিহিত করেছেন। পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা অধিকারী বলেন, “হিংসার জন্য মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্য প্রশাসন দায়ী।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct