নাজিম আক্তার, হরিশ্চন্দ্রপুরে, আপনজন: ঘাসফুল শিবিরে ভাঙন। পঞ্চায়েত ভোটের মুখে একমো দিনের কাজের ফাইল লোপাটের অভিযোগে দল ছাড়ল ৫০ টি পরিবার। এতে অস্বস্তিতে পড়েছে শাসকদল। পঞ্চায়েতের ফাইল লোপাটের চেষ্টা থেকে শুরু করে একেরপর এক অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটার অভিযোগে ক্ষুব্ধ হয়ে সাধারণ ভোটার থেকে শুরু করে তৃণমূলের নেতা কর্মীরা দল ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন বলে দাবি সিপিআইএম এর। জানা যায়,বুধবার দুপুর একটা নাগাদ হরিশ্চন্দ্রপুর-২ নং ব্লকের সুলতান নগর গ্রাম পঞ্চায়েতের কুশল গ্ৰামে ছিল সিপিআইএম এর কর্মী সভা।এদিনের এই কর্মী সভায় পঞ্চায়েত সদস্য আসমাউল হক ও বাম নেতা সেখ খলিলের হাত ধরে ৫০ টি পরিবার তৃণমূল ছেড়ে সিপিআইএম যোগদান করেন বলে দাবি।
উল্লেখ্য,সোমবার গভীর রাতে হরিশ্চন্দ্রপুর-২ নং ব্লকের সুলতান নগর গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস থেকে ১০০ দিন প্রকল্পের ফাইল লোপাট করতে গিয়ে তিন সরকারি কর্মচারীকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন ডিওয়ােইএফআই এর দুই কর্মী ও কংগ্রেসের এক পঞ্চায়েত সদস্য।এরপরে আড়ালে লুকিয়ে থাকা ৫০ থেকে ৬০ জন তৃণমূল কর্মী পঞ্চায়েতে ছুটে এসে ওই দুই ডিওয়ােইএফআই কর্মী ও এক পঞ্চায়েত সদস্যকে বেধড়ক ভাবে মারধর করার পাশাপাশি পঞ্চায়েত ভাংচুর করে বলে অভিযোগ। মহম্মদ ইরফান নামে এক ডিওয়ােইএফআই কর্মীর মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। বর্তমানে সে মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন।এতেই আতঙ্কিত হয়ে সুলতান নগর গ্রাম পঞ্চায়েতের কুশল গ্ৰামের প্রায় ৫০ টি পরিবার তৃণমূল ছেড়ে সিপিআইএম এ যোগদান করেন বলে জানা গেছে।বাম নেতা সেখ খলিল জানান, তৃণমূলের পতন শুরু হয়ে গেছে।নিজেদের দুর্নীতি ঢাকানোর জন্য পঞ্চায়েতের ফাইল লোপাট থেকে শুরু করে এলাকায় অশান্তি সৃষ্টি করার চেষ্টা করে চলেছে তৃণমূলের নেতা কর্মীরা। সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচনে সুলতান নগর গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূল একটাও আসন পাবে না।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct