মোল্লা মুয়াজ ইসলাম, বর্ধমান, আপনজন: মঙ্গলবার খোদ আদালতের মধ্যে হাতাহাতিতে পাবলিক প্রসিকিউটর। একে অপরের বিরুদ্ধে মারধরের ঘটনায় জড়ালেন পিপি এবং এপিপিরা। মঙ্গলবার নজিরবিহীন এই ঘটনার সাক্ষী থাকলো বর্ধমান আদালত। পিপির সঙ্গে দীর্ঘদিন বনিবনা হচ্ছে না এপিপিদের। এই নিয়ে কোর্ট সরগরম আছে বেশ কিছুদিন ধরেই। মঙ্গলবার আদালত চত্বরে পোস্টারও পড়ে পিপির বিরুদ্ধে । এপিপিদের অভিযোগ, বর্তমান পি পি র কোনো ফৌজদারি মামলা সম্পর্কে অভিজ্ঞতা নেই।উনি এই পদে বসে এজেন্ট নিয়োগ করে বিভিন্ন ভাবে টাকাপয়সা তুলছেন।গুরুত্বপূর্ণ মামলা জুনিয়র এ পি পি দের দিচ্ছেন। কম গুরুত্বপূর্ণ মামলাগুলি সিনিয়রদের দিচ্ছেন। এতে বিচার ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তারা এর প্রতিবাদ জানাচ্ছেন।তাদের আরও অভিযোগ এই সরকার ক্ষমতায় এসে নিজ মতালম্বীদের নিয়োগ করেছিল। পি পি নিজের খেয়াল খুশিমত চলছেন। টাকা পয়সা নিয়ে মামলাকে প্রভাবিত করার অভিযোগ করেন তারা। তাদের দাবি, বর্তমান পি পির নিয়োগও সঠিকভাবে হয় নি। পি পি কে সরানোর দাবীতে বর্ধমান জেলা আদালতে জারি হয়েছে অচলাবস্থা । শুক্রবারই পি পিকে সরানোর দাবিতে সই করেছিলেন ২৮ জন এ পি পি। তারা জানিয়েছেন তাদের দাবি মানা না হলে তারা আর মামলা লড়বেন না। বর্ধমান আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর শ্যামল গাঙ্গুলীকে তার পদ থেকে সরানোর দাবিতে শুক্রবার জেলার এ পি পি রা জেলাশাসক এবং জেলা বিচারকের কাছে ডেপুটেশনও দেন। মঙ্গলবার সকাল থেকেই এ পি পি রা তাদের দাবীতে অনড় রয়েছেন। জেলা জজকোর্টে মঙ্গলবারও কোন কাজ হচ্ছে না। এদিন পিপি জজকোর্ট ঢুকতে গেলে সমস্যা তৈরি হয়। এপিপিদের সঙ্গে বচসা শুরু হয় পিপির। দু’পক্ষের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হওয়ার মাঝেই শুরু হয় হাতাহাতি। দু পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ করেন। এই ঘটনায় হতবাক বিচারপ্রার্থী এবং তাদের পরিবার পরিজনরা। অবাক হয়ে যান কর্মীরাও। প্রকাশ্য আদালতে পিপি এবং এপিপিরদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনাকে নজিরবিহীন বলেই তাদের দাবি।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct