দেবাশীষ পাল, মালদা, আপনজন: গঙ্গায় মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ মৎসজীবীর দেহ উদ্ধার। ওই মৎস্যজীবীর নাম রাম হালদার বয়স (৬৫)। রবিবার সাত সকালে মৎস্যজীবীরা নদীতে একটি দেহ ভাসতে দেখেন। তৎক্ষনাৎ ছুটে গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে ঘাটের দিকে তুলে নিয়ে আসেন। ছোট টিনের ডিঙিতে মাছ ধরতে গিয়ে শুক্রবার রাতে মৎস্যজীবী রাম হালদার রাত সাড়ে সাতটা নাগাদ নদীতে নিখোঁজ ছিলেন। দিনভর ও রাতভর নদীর বুকে জাল নিয়ে চলে খোঁজখবর ও তল্লাসি। সংশ্লিষ্ট বৈষ্ণবনগর থানার খেজুরিয়া নিউ কলনীর ভাঙাটোলা গ্রামে বাড়ি নিখোঁজ মৎসজীবীর। সংশ্লিষ্ট ভাঙাটোলা ঘাটের অদূরে ফারাক্কা ব্যারেজের কাছে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে বলে পরিবারের অনুমান। কীভাবে জলে ডুবল কেউ বুঝতে পারছে না। মাছ ধরার সময় অসুস্থ হয়ে জলে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হতে পারে। নিখোঁজ দেহ উদ্ধারের আশায় গঙ্গার পাড়ে পরিবার পরিজনেরা বসে ছিলেন। ইতিপূর্বে বহু মৎষ্যজীবী জলে মৃত্যু হলেও অনেককে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। এদিন মৎসজীবী রাম হালদারের দেহ উদ্ধারের আশায় ঠাঁই বসে ছিলেন পরিবার। রবিবার গঙ্গায় ভেসে ওঠে রাম হালদারের মৃতদেহ। নিখোঁজ মৎসজীবীর এক ভাই উত্তম হালদার জানান, ‘এখানে প্রতিদিন ২০০ ওপর মৎসজীবী মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। দিনরাত মাছ ধরাই পেশা। মাছ ধরতে গিয়ে গঙ্গায় নিখোঁজ ছিলেন মৎসজীবী দাদা রাম হালদার। এদিন গঙ্গায় ভেসে উঠে ও উদ্ধার হয় মৃতদেহ। তবে কীভাবে মৃত্যু হল বুঝতে পারছি না।’ বৈষ্ণবনগরের থানার আইসি নিম সেরিং ভূটিয়া জানান, আমাদের নৌকায় মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজের কথা পুলিশকে জানানো হয়নি। এদিন গঙ্গায় এক মৎসজীবী রাম হালদারের মৃতদেহ ভেসে ওঠে ও উদ্ধারের খবর পেয়ে পুলিশ ছুটে যায়। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠায়। মৃত্যু কীভাবে হল খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি গঙ্গার ভাঙাটোলা ঘাটে মাছ ধরার সময় দুর্ঘটনা বা জলে ডুবে যাওয়ার মতো ঘটনায় মৎসজীবীদের নিয়ে একটি সচেতন সভা করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct