আনোয়ার হোসেন, হলদিয়া, আপনজন: হলদিয়া বন্দর পরিচালন কমিটি দখল নিল সিআইটিইউ,খাতাই খুলতে পারল না বর্তমান শাসক দল তৃণমূল বিজেপি। টানটান উত্তেজনার মধ্যে হলদিয়া বন্দরের ডক ইন্সটিটিউটের পরিচালন কমিটির নির্বাচন হয়েছিল শুক্রবার,রাজ্য পুলিস ও সিআইএসএফের ঘেরাটোপে ভোট দেন বন্দরের স্থায়ী শ্রমিক,কর্মচারী ও আধিকারিকরা তৃণমূল বাম ও কংগ্রেস জোট এবং বিজেপির এই ত্রিমুখী লড়াই হয়। মোট ভোটার সংখ্যা ৭৩৭জন ভোট দেয় ৬৯৪জন।মূলত হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয় তৃণমূল ও বাম-কংগ্রেস জোটের। অন্যদিকে, ভারতীয় মজদুর সঙ্ঘ বা বিএমএস অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই চালে বন্দরের নির্বাচনে।বিজেপির কোনও শ্রমিক সংগঠন না থাকায় আরএসএসের এই শ্রমিক সংগঠনই বন্দর সহ শিল্পাঞ্চলে বিজেপির মুখরক্ষা করছে।তিনটি প্যানেলে মোট প্রার্থী সংখ্যা ৫৮জন ছিল, প্রতিটি প্যানেলে ১৮জন পরিচালন কমিটির সদস্য ও সহ সভাপতি মিলিয়ে মোট ১৯ করে প্রার্থী ছিল। একজন নির্দল প্রার্থী ভোটে একা লড়াই করে। শনিবার নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হয়। প্রথম থেকেই এগিয়ে ছিল সিআইটিইউ সমর্থিত প্রার্থীরা।শেষে বিরোধীদের হারিয়ে ১৯ জন সিআইটিইউ প্রার্থী জয়লাভ করেন। কয়েক মাস পরে হলদিয়া পুরসভার নির্বাচন।পুর নির্বাচনের আগে এই ফলাফল গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। প্রতি দু’বছর অন্তর এই নির্বাচন হয়। গতবার পরিচালন কমিটির সব আসনে তৃণমূল জয়ী হলেও সহ সভাপতি পদে জয়ী হয়েছিল বামেরা, এই জয় কে কেন্দ্র করে শুরু হয় রাজনৈতিক তরজা হলদিয়া বন্দরের সিটু নেতা বিমান মিস্ত্রি বলেন, ‘সাগরদিঘি মডেলকে সামনে রেখে জোট করেছিলাম। ১৯টিতেই জয়ী। জনবিরোধী সরকার। অপর দিকে’ তৃণমূলের হারের ঘটনায় খুশি হয়েছে বিজেপি। ভারতীয় মজদুর সঙ্ঘের রাজ্য কমিটির সহ সভাপতি প্রদীপ বিজলি বলেন, ‘সিটু জিতেছে কিছু বলার নেই। তৃণমূল হেরেছে এতে খুশি।’ যদিও এই জয়কে কোনও রকম আমল দিতে নারাজ তৃণমূল।এমন ভোটের প্রভাব পঞ্চায়েত ভোটে পড়বে না বলেই দাবি করেছে ঘাসফুল শিবির। ২০১৯ থেকে ২০২৩পর্যন্ত এই ডক ইন্সটিটিউট তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসির দখলে ছিল। এবার সেখানে জোটের কাছে ধরাশায়ী তৃণমূল।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct