সুব্রত রায়, কলকাতা, আপনজন: বকেয়া এবং কেন্দ্রীয় হারে মহার্ঘভাতার দাবিতে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ধর্মঘটে সামিল হয়েছিলেন সরকারি স্কুল কলেজের বহু শিক্ষক। এবার সেই ধর্মঘটে সামিল হওয়া প্রায় ২৩ হাজার শিক্ষককে শোকজ নোটিশ ধরাল পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। আগামী সাত দিনের মধ্যে অনুপস্থিতির কারণ জানাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নোটিশে। জানা গিয়েছে, এর মধ্যে নদিয়া জেলার শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সবথেকে বেশি শোকজ করা হয়েছে। নদিয়ার প্রায় সাড়ে ৩ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকাকে শোকজ করা হয়েছে। নদিয়া জেলার পাশাপাশি উত্তর চব্বিশ পরগনা, মুর্শিদাবাদ জেলাতেও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিক্ষক শিক্ষিকাদের শো-কজ করল পর্ষদ। ধর্মঘটের দিন বিভিন্ন জেলায় অনুপস্থিত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের তালিকা পাঠান সংশ্লিষ্ট জেলার স্কুল বিদ্যালয় পরিদর্শকরা। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতেই শোকজের প্রক্রিয়া শুরু হয়। উল্লেখ্য ১০ তারিখে স্কুলে হাজিরা না দেওয়ায় এর আগে উত্তর দিনাজপুরে ৪৯৭ জন প্রাথমিক শিক্ষককে শো-কজ করেছিল জেলা প্রাথমিক স্কুল শিক্ষা দফতর। তালিকায় নাম রয়েছে জেলার একাধিক স্কুলের শিক্ষকদের নাম। যদিও ডিএ এর দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষকদের তরফে আগেই বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির নেতা স্বপন মণ্ডল দাবি করেছিলেন, সরকার প্রথমে বলেছিল, ৫ শতাংশ কর্মী ধর্মঘটে শামিল হয়েছে।
পরবর্তীতে বিকাশ ভবন খোঁজ নিয়ে দেখল দেড় লক্ষ শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী এই ধর্মঘটে সামিল হয়েছেন। মধ্যশিক্ষা পর্ষদ শিক্ষকদের ধর্মঘট করার জন্য শোকজ শুরু করলে বাংলায় আগুন জ্বলবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন তিনি। প্রসঙ্গত, ডিএ এর দাবিতে ধর্মঘটে শামিল হলে সেই কর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছিল রাজ্য অর্থ দফতর। ধর্মঘটের আগেই নির্দেশিকা জারি করে অর্থ দফতর জানিয়েছিল ধর্মঘটের দিন কোনও সরকারি কর্মচারী অনুপস্থিত থাকলে তাঁর সার্ভিস ব্রেক এবং শোকজ করা হবে। পাশাপাশি বেতনও কেটে নেওয়া হবে। অনুপস্থিত থাকা সরকারি কর্মচারি শো কজের যথাযথ জবাব না দিতে পারলে সংশ্লিষ্ট কর্মীকে বিভাগীয় তদন্তের মুখেও পড়তে হবে। এবার সেই নির্দেশিকা অনুযায়ী নবান্নের সম্মতিতে ওই নির্দিষ্ট দিনে গরহাজির থাকা শিক্ষকদের শোকজ নোটিস পাঠাল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct