রঙ্গিলা খাতুন, বহরমপুর: রাহুল গান্ধীর লোকসভার সদস্য পদ খারিজ হতেই দেশজুড়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চর্চা। রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজ বিস্ফোরক বহরমপুরের কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী। তিনি বলেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেই রাহুল গান্ধিকে লোকসভার সদস্য হিসেবে তাঁর সেই পদ থেকে খারিজ করা হয়েছে। ভারত জোড়ো যাত্রার সময় রাহুল গান্ধী বহু মানুষের ভালবাসা পান যেমন, তেমনি জনপ্রিয়তাও পান। যা বিজেপির হজম হয়নি।
উল্লেখ্য রাহুল গান্ধীর ২০১৯ এর লোকসভা ভোটের প্রচারে মানহানিকার মন্তব্যের জন্য গুজরাটের সুরাটের মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট এইচ এইচ রাহুল গান্ধিকে দোষী সাব্যস্ত করে তার দু বছরের কারাদণ্ডের সাজা ঘোষণা করেছেন। এই বিষয়ে অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেন, ভারতের মানুষ দেখতে পাচ্ছেন প্রতিহিংসার রাজনীতির যে কুৎসিত চেহারা তা পরিস্ফুটিত হচ্ছে। তিনি বলেন, চার বছর আগে রাহুল গান্ধী কর্নাটকে ভোটের প্রচারে গিয়ে বলেছিলে, নিরব মোদী ললিত মোদী নরেন্দ্র মোদী সব পদবি কি করে এক হয়? এর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছিলেন গুজরাতের বিজেপি বিধায়ক পূর্ণেস মোদী। অধীর এই পরিপ্রেক্ষিতে বলেন তিনি বলতে চেয়েছিলেন যে ললিত মোদী নীরব মোদী বারবার মোদিদের নাম কেন আসছে! তিনি বলেন, নিরব মোদী ললিত মোদী ভারতের ব্যাংকের সাড়ে ১৩ হাজার কোটি টাকা লুট করে বহাল তবিয়তে এরা বিদেশে ঘুরছেন। তিনি বলেন জনসভার মধ্যে যেখানে কৃষি নিয়ে বেকারত্ব নিয়ে আলোচনা তার মধ্যে কখনো এই কথাটি এক লাইনে এসেছিল, যে কেন এত চোরদের মধ্যে মোদীর পদবি এসে যায়। অধীর বলেন, আমরা কথায় কথায় কত কি বলি। রাহুল গান্ধী কি দু বছরের সাজা হওয়ার মতো কোনো কথা বলেছে প্রশ্ন অধীরের। তিনি বলেন, পরিকল্পিতভাবে তাকে দুবছরের সাজা দেওয়া হয়েছে কারণ কারও সদস্যপথ খারিজ করতে গেলে তাকে দেখাতে হবে যে সে দু বছরের বেশি সাজা পাওয়া ব্যক্তি। বছরের নিচে যদি কেউ সাজা পায় তাহলে তার সদস্যপদ খারিজ হবে না। রাহুল গান্ধীর সদস্যপথ খারিজ করার জন্যই তার দু বছরের সাজা ঘোষণা করা হয় বলে জানান অধীর রঞ্জন চৌধুরী। অধীর বলেন এটা কত বড় প্রতিহিংসার রাজনীতি দেখলেই বুঝা যায়।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct