এম মেহেদী সানি, অশোকনগর: অশোকনগরের সুহৃদ সংঘের মাঠে অশোকনগর কল্যাণগড় অ্যাথলেটিক কোচিং সেন্টারের ছাত্র-ছাত্রীদের উৎসাহিত করার লক্ষ্যে বিশিষ্ট অ্যাথলেট ইসমাইল সরদারের সৌজন্যে বিভিন্ন ক্রীড়া সামগ্রী ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। জানা গিয়েছে ওই কোচিং সেন্টারে শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী প্রশিক্ষণ নেয়। বিশিষ্ট অ্যাথলেট ইসমাইল সরদারের হাত থেকে উপহার সামগ্রী পেয়ে খুশি সকলেই। অশোকনগর কল্যাণগড় অ্যাথলেটিক কোচিং সেন্টারের প্রশিক্ষক বাসুদেব ঘোষ বলেন কোচিং সেন্টার থেকে সম্প্রতিকালে ১২ জন ছাত্র ছাত্রী জাতীয় স্তরে স্থান পেয়েছে। সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এ দিন বাসুদেব ঘোষ বিভিন্ন ক্রীড়া সরঞ্জাম-এর অভাব এবং সরকারি অসহযোগিতার কথা তুলে ধরেন।
অ্যাথলেট জগতের প্রতিভাবানদের প্রতি সরকারের উদাসীনতার কথা তুলে ধরে বিশিষ্ট অ্যাথলেট ইসমাইল সরদার আক্ষেপের সুরে বলেন, ‘আমরা সব সরকারকেই দেখেছি, কোনো ছাত্র অ্যাথলেট জগতে জাতীয় স্তরে স্থান পেয়েও সে অনেক সময় সরকারি সাহায্য থেকে বঞ্চিত। দেখা যাচ্ছে জাতীয় স্তরে প্রথম হয়েও তাকে ভ্যান চালাতে হচ্ছে, সরকারি উদাসীনতায় মেধা গুলো হারিয়ে যাচ্ছে’ বলেও মন্তব্য করেন ইসমাইল।
এ দিন কোচিং সেন্টার এর ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে উপহার সামগ্রী তুলে দিতে পেরে সন্তোষ প্রকাশ করেন ইসমাইল বাবু। জানা গিয়েছে ইসমাইল সরদারের বয়স পঞ্চাশের কোঠায়, তবুও এখনও নিয়ম করে চলে শরীরচর্চা। পাশাপাশি এলাকার ক্রীড়াপ্রেমী নতুন প্রজন্মের কাছেও তিনি বেশ জনপ্রিয়। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার স্বরূপনগর থানার চারঘাটের ভূমিতলার বাসিন্দা প্রবীণ ওই অ্যাথেলেট। ১৯৮৯ সালে তিনি ন্যাশানাল চ্যাম্পিয়ন হন। এরপর ম্যারাথনে অংশগ্রহণ করে তিনি তার প্রতিভা দেখিয়ে নজর কেড়েছিলেন তামাম দেশবাসীর। নব্বইয়ের দশক থেকে রাজ্য, দেশ, বিদেশের একাধিক প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে বাংলার ক্রীড়াজগতে গর্বের মুকুটে জুড়েছেন একের পর এক পালক।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct