আপনজন ডেস্ক: গলা জ্বালা হওয়া খুবই সাধারণ ব্যাপার। কোনও ক্ষেত্রে ঠান্ডা লেগে, আবার অ্যাসিডিটির প্রভাবেও গলা-বুক জ্বালা হতে পারে। খাওয়াদাওয়ার অনিয়ম, অস্বাস্থ্যকর খাবার এবং অতিরিক্ত তেলমসলার প্রভাবে পাকস্থলীতে এই অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে যায়। এই অ্যাসিড পাকস্থলীর কপাটিকা থেকে সোজা খাদ্যনালীতে চলে আসে। এই কারণেই গলা ও বুক জ্বলতে থাকে। এছাড়াও দূষণ, অতিরিক্ত গরম খাবার বা পানীয়, মসলাদার খাবার,অ্যাসিডিটি, গলায় সংক্রমণ, আলসার, খাবার থেকে অ্যালার্জি। এটা থেকে বাঁচতে মধু খেতে পারেন। মধু গলায় জ্বালাপোড়ার সমস্যা কমাতে দারুণ কার্যকর। মধুতে থাকা অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য গলায় জ্বালাপোড়া সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাসকে মেরে ফেলে। গলা জ্বালাভাব কমাতে সরাসরি দুই চা চামচ মধু খেতে পারেন অথবা গরম হার্বাল চায়ের সঙ্গে মিশিয়েও মধু সেবন করতে পারেন। গলা ব্যথা বা গলায় জ্বালা হলে এক কাপ গরম জলে সামান্য লবণ মিশিয়ে কুলিকুচি করুন। লবণ ব্যবহারে গলার টিস্যু থেকে তরল নির্গত হয়, যা ভাইরাস এবং কফ অপসারণে সহায়তা করে। এ ছাড়াও, গরম জলে লবণ মিশিয়ে কুচিকুচি করলে অ্যাসিড উৎপাদন হ্রাস করে এবং গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল অস্বস্তিও কমায়। এ কারণে গলার অস্বস্তি কমাতে দিনে বেশ কয়েকবার কুলিকুচি করুন। আর অবশ্যই পর্যাপ্ত জল পান করুন। এতে শরীর হাইড্রেট থাকে এবং গলায় জ্বালাপোড়ার সমস্যাও কমে। গলা জ্বালাপোড়ার জন্য সেরা প্রতিকার হল এক গ্লাস ঠান্ডা দুধ। দুধে প্রচুর পরিমাণে ইলেক্ট্রোলাইট এবং ক্যালসিয়াম রয়েছে। এই দুই উপাদানই জলশূন্যতা এবং হজমের সমস্যা কমাতে পারে। গলা ব্যথা কমাতে খুবই কার্যকর ঠান্ডা দুধ।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct