সাদ্দাম হোসেন মিদ্দে, ভাঙড়, আপনজন: টুকলি করার অভিযোগে খাতা বাতিলকে কেন্দ্র করে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে শিক্ষকদের ঝামেলা। ঘটনায় শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশের লাঠিচার্জের অভিযোগ। বৃহস্পতিবারের ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার ভাঙড় উচ্চ বিদ্যালয়ে। এদিন ছিল ২০২৩ ব্যাচের উচ্চ মাধ্যমিকের কলা বিভাগের শিক্ষাবিজ্ঞান ও বিজ্ঞান বিভাগের পদার্থ বিদ্যা বিষয়ের পরীক্ষা। ভাঙড় উচ্চ বিদ্যালয়ে পরীক্ষা দিচ্ছিলেন কাঁঠালিয়া ও কারবালা উচ্চ বিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থীরা। জানা গেছে টুকলি করছিলেন শিক্ষার্থীদের কয়েকজন। টুকলি করার অভিযোগে কর্তব্যরত শিক্ষিকা এক শিক্ষার্থীর খাতা বায়েয়াপ্ত করে বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় মেজাজ হারান শিক্ষার্থীরা। পাল্টা অভিযোগ পরীক্ষা শেষে বিদ্যালয় ভাঙচুর করতে উদ্যত হয় শিক্ষার্থীরা। ভাঙচুরে বাধা দিতে গেলে শিক্ষকদের সঙ্গে তুমুল ঝামেলা হয়। হাতাহাতির ঘটনা ঘটে বলেও জানা গেছে। ঘটনার পর শিক্ষার্থীরা পথে বসে পড়েন। খবর পেয়ে ভাঙড় থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। পুলিশ এসে শিক্ষার্থীদের ওপর লাঠিচার্জ করে বলে অভিযোগ উঠেছে। শিক্ষার্থীরা দাবি করেছেন তাদের মধ্যে কয়েকজন আহত হয়েছেন। শিক্ষকরা দাবি করেছেন একজন শিক্ষকও আহত হয়েছেন। ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। ঘটনার জেরে একাদশ শ্রেণীর পরীক্ষা কিছুটা বিলম্বে শুরু হয় বলে জানা গেছে। শতবর্ষ প্রাচীন বিদ্যালয়ে এমন ঘটনায় মর্মাহত এলাকার বিশিষ্টরা। ভাঙড় উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তনী বঙ্গবিভূষণ আব্দুল ওহাব আপনজনকে বলেন, “টুকলি করা বা টুকলিতে সহযোগিতা করা অন্যায়। শিক্ষক -শিক্ষার্থী গন্ডগোল ও শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশের লাঠিচার্জ দূর্ভাগ্যজনক। অভিভাবক ও শিক্ষকদের আরও বেশি সজাগ হতে হবে।” ভাঙড়ের বাসিন্দা কবি লালমিয়া মোল্লা আপনজনকে বলেন, “আমরা এক ভয়ঙ্কর সাংস্কৃতিক অবক্ষয়ের ভিতর দিয়ে সময় অতিবাহিত করছি।”
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct