আপনজন ডেস্ক: ২০০২ সালের গুজরাট দাঙ্গায় গণধর্ষণের শিকার বিলকিস বানুর ১১ আসামির সাজা মকুবে বিরুদ্ধে করা আবেদনের শুনানির জন্য একটি বিশেষ বেঞ্চ গঠন করতে সম্মত হয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় এ বিষয়ে বলেছেন, বিলকিস বানু গণধর্ষণ ও হত্যা মামলায় দোষী সাব্যস্ত ১১ জনের অকাল মুক্তির বিরুদ্ধে দায়ের করা পিটিশনের শুনানির জন্য তিনি একটি বিশেষ বেঞ্চ গঠন করবেন। প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় বিলকিস বানুর পক্ষে আইনজীবী শোভা গুপ্তা প্রধান বিচারপতির জরুরি দৃষ্টি আকর্ষণ প্রয়োজন এমন বিষয়গুলি উত্থাপন করার পরে তিনি এই কথা বলেন। বিচারপতি পি এস নরসিমা ও বিচারপতি জে বি পারদিওয়ালার বেঞ্চকে গুপ্তা জানান, বিষয়টি বর্তমানে বিচারপতি অজয় রাস্তোগি ও বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদীর বেঞ্চেতালিকাভুক্ত। তিনি আদালতকে এটি শুনানির জন্য একটি বিশেষ বেঞ্চ গঠনের আহ্বান জানান। প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আমি একটি বেঞ্চ গঠন করব। আজ সন্ধ্যায় দেখব’। তবে,
বিচারপতি ত্রিবেদীর বেঞ্চ ত্যাগের কোনও কারণ জানানো হয়নি। তিনি ২০০৪ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত গুজরাত সরকারের আইন সচিব ছিলেন। উল্লেখ্য, ২০০২ সালের ৩ মার্চ গুজরাটের দাহোদ জেলার লিমখেদা তালুকের দাঙ্গার সময় বিলকিসকে গণধর্ষণ করা হয় এবং তার তিন বছরের মেয়ে সহ তার পরিবারের ১৪ জনকে হত্যা করা হয়। গত বছরের ১৫ আগস্ট ওই মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ১১ আসামিকে গুজরাত সরকার সাজা মকুব করে তাদের মুক্তি দেয়।বিলকিস বানু সেই ঘটনাটিকে এই দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে জঘন্য অপরাধগুলির মধ্যে একটি হিসাবে বর্ণনা করেছেন এবং সেই সঙ্গে বলেছেন, দোষীদের অকাল মুক্তি কেবল তার জন্য নয়, তার বড় মেয়ে, পরিবার এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে সমাজের জন্য একটি ধাক্কা। বিলকিস বলেন, তাদের অকাল মুক্তি তার ‘ট্রমা’কেও ‘পুনরুজ্জীবিত’ করেছে। ২০২২ সালের ১৩ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্ট বিলকিসের একটি আবেদন খারিজ করে দেয়, যাতে ২০২২ সালের মে মাসের আদেশ পুনর্বিবেচনার আবেদন করা হয়। যাতে বলা হয় যে এই মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ১১ জন দোষীর মধ্যে একজনের ক্ষমার আবেদনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য গুজরাত সরকার উপযুক্ত সরকার এবং এই বিষয়ে রাজ্যের ১৯৯২ সালের ক্ষমা নীতি প্রযোজ্য হবে।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct