দেবাশীষ পাল, মালদা: ক্লাসরুমেই ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে গাজোলের একটি জুনিয়র হাইস্কুলে। এই ঘটনায় নির্যাতিতার মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে গাজোল থানার পুলিশ। ধৃতদের একজন আবার নির্যাতিতার বান্ধবীর দাদা। গোটা ঘটনায় স্কুলের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন নির্যাতিতার মা। ঘটনার প্রেক্ষিতে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গাজোল জুড়ে।
ঘটনাটি ঘটেছে গত শনিবার। ওই জুনিয়র স্কুলে ছাত্রী সংখ্যা ৩৭। শিক্ষক রয়েছেন মাত্র একজন। সেদিন অসুস্থতার জন্য তিনি স্কুল যাননি। একই কারণে সোমবারও স্কুলে অনুপস্থিত ছিলেন তিনি। জানা গিয়েছে, শনিবার হাতে গোনা কয়েকজন ছাত্রী স্কুলে গিয়েছিল। তবে শিক্ষক না থাকায় পঠনপাঠন হয়নি। তারা মিড ডে মিল খেয়ে বাড়ি চলে যায়। তবে খাবার খাওয়ার পরেও নির্যাতিতা ও তার এক বান্ধবী স্কুলে ছিল। সেই সময় বহিরাগত তিন যুবক স্কুলে ঢোকে। তাদের মধ্যে একজন ছাত্রীদেরই এক বান্ধবীর দাদা। তারা দু’জনকেই দোতলায় টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু এক ছাত্রী কোনওমতে তাদের হাত ছাড়িয়ে পালিয়ে যায়। এরপরেই ওই তিন যুবক এক ছাত্রীকে দোতলার একটি ঘরে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। এদিকে পালিয়ে যাওয়া ছাত্রীটি নির্যাতিতার বাড়িতে গিয়ে সব কথা খুলে বললে স্কুলে ছুটে যান মা।
নির্যাতিতার মা বলছেন, “এই ঘটনার জন্য দায়ী স্কুল কর্তৃপক্ষ। সেদিন খবর পাওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গে স্কুলে গিয়ে দেখি, দোতলার ঘরে বসে মেয়ে কাঁদছে। অনেক জিজ্ঞাসা করলেও সে কিছু বলেনি। বাড়ি ফেরার পর মেয়ে সব ঘটনা খুলে বলে। এরপরেই গতকাল আমি গাজোল থানায় তিন যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছি। পুলিশ তিনজনকেই গ্রেফতার করেছে।” এই ঘটনায় অভিযোগ দায়ের হতেই গতকাল রাতে তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে গাজোল থানার পুলিশ। ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানিয়ে আজ ধৃতদের মালদা জেলা আদালতে পেশ করা হলে বিচারক তিনজনেরই পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct