আপনজন ডেস্ক: ৬০ টির ও বেশি পুরসভার ৫০০০ এর ও বেশি বেআইনি নিয়োগ করা হয়েছে বলে তথ্য পেল ইডি।। ৫০০০ বেআইনি নিয়োগ এর মধ্য শিক্ষক থেকে শ্রমিকদের ও বেআইনি ভাবে টাকা নিয়ে চাকরি দেওয়া হয়েছে। অয়ন শীল এতটাই প্রভাবশালী যে তিনি শুধু পুরসভার ওএমআর শিট তৈরি করা নয়, পুর নিয়োগ প্রক্রিয়াতেও যুক্ত ছিলেন । আদালতে সোমবার এমনটাই দাবি করেন ইডির পক্ষের আইনজীবী। তার দাবি, অয়ন শীল ৫০ কোটি টাকার বেশি তুলেছিলেন চাকরি পার্থী দের থেকে। ইডি যখন প্রথম তদন্ত করতে নেমেছিল তখন ভাবা হয়েছিল শুধু মাত্র এসএসসি, টেট নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে রাজ্যের অনেক দফতরে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন ইডির আইনজীবী। ইডির তরফে তাদের আইনজীবী আদালতের বিচারককে জানান, কেস ডায়েরিতেসমস্ত তথ্য প্রমাণ রয়েছে একবার দেখে নিন। সেট ওপেন কোর্টে বলা যাবে না । কেস ডায়রী দেখলে আপনি সিউরে উঠবেন । ইডি যখন কুন্তল ঘোষের বয়ান এর ভিত্তিতে শান্তনুকে গ্রেফতার করে তখন শান্তনুর ২ টি আই ফোন এর হোয়াটসঅ্যাপের চ্যাট হিস্টোরি তে সান্তনুর সঙ্গে অয়ন শীল এর চ্যাটিং রয়েছে প্রথম দেখতে পায় । সেই খান থেকেই প্রথম অয়ন শিলের ও তার কোম্পানি এসিএস ইনফোজোন কোম্পানির সূত্র পাওয়া যায়। ইডি তখন বলেছিল সোনার খনি রয়েছে সান্তনুর আই ফোনে। এর থেকে শুধুমাত্র কিছু শতাংশ বেরিয়েছে বলে আদালতে দাবি ইডির আইনজীবীর। আজ আমরা বুঝতে পারছি কেনো সোনার খনি বলেছিলাম। বহু তথ্য ও রহস্য এখন ও বার করতে হবে। তার জন্য অয়ন শীল এর ১৪ দিনের ইডি হেফাজতের আবেদন করা হল। আমরা গোল্ড মাইন- এ প্রবেশ করেছি। জানি না কত পরিমাণ গোল্ড রয়েছে! এই গ্রেফতারির পর যে পরিমাণ টাকার হদিশ পাওয়া যাচ্ছে তাতে আমরা সম্ভিত। এই ১৪ দিনে অয়ন এর সঙ্গে বহু লোকের মুখমুখী জেরা করতে চায় ইডি । তাই তাকে ইডির হেফাজতে দেওয়ার আবেদন জানানো হয়।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct