এম মেহেদী সানি, বাগদা, আপনজন: চরম অনিশ্চয়তা ছিল পরীক্ষায় বসতে পারবে কিনা, কারণ উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরুর একদিন আগেও এডমিট হাতে পাননি উত্তর ২৪ পরগনার বাগদার কুরুলিয়া হাই স্কুলের ছাত্র মিলন সরকার। ছেলের ওই পরিস্থিতি তে রীতিমতো ভেঙে পড়েছিল পরিবার। শেষমেশ বাগদা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির তৎপরতায় অ্যাডমিট পেয়ে দিব্যি পরীক্ষা দিচ্ছে মিলন। শুক্রবার স্কুলের প্রত্যেক পরীক্ষার্থীকেই অ্যাডমিট কার্ড পেলেও অ্যাডমিট কার্ড আসেনি মিলনের। স্বাভাবিকভাবে ভেঙে পড়ে মিলন ও তাঁর পরিবারের লোকজন। বিষয়টি কানে আসে বাগদা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি গোপা রায়ের। তড়িঘড়ি ব্যবস্থা নেন তিনি, সংশ্লিষ্ট দফতরের সঙ্গে কথা বলে পরীক্ষার আগের রাতেই মিলনের অ্যাডমিট কার্ডের ব্যবস্থা করেন গোপা রায়। এ প্রসঙ্গে বাগদা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি গোপা রায় বলেন, ‘ছেলেটি দরিদ্র কৃষক পরিবারের ছেলে, অনেক কষ্ট করে পড়াশোনা করছে। ছেলেটি আমার কাছে এসে অ্যাডমিট না পাওয়ায় কান্নাকাটি শুরু করে, আমি ওকে আশ্বস্ত করি এবং পরীক্ষা নেওয়ার জন্য মানসিক প্রস্তুতি নিতে বলি।’ গোপা রায় বলেন, পরীক্ষার পূর্ব মুহূর্তে ছেলেটির হাতে অ্যাডমিট তুলে দিতে পেরে গর্বিত মনে হচ্ছে এবং ভীষণ আনন্দ পাচ্ছি যে, ছেলেটি পরীক্ষা দিতে পারছে।আমি জনপ্রতিনিধি, আমার কাজ জনগণের পরিষেবা দেওয়া।’বাগদা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি গোপা রায়ের এহেন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন শিক্ষা মহল। অন্যদিকে ছেলের একটা বছর নষ্ট না হওয়ায় পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি গোপা রায়কে কৃতজ্ঞতা জানাতে ভোলেননি মিলন সরকারের পরিবার। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসতে পেরে রীতিমতো উচ্ছ্বসিত মিলন সরকার। মিলনের কথায় ধরেই নিয়েছিলাম এবছর হয়তো আমার পরীক্ষায় বসা হবে না। কিন্তু, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি যেভাবে আমার অ্যাডমিট কার্ডের ব্যবস্থা করলেন। এতে আমি খুবই খুশি।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct