আপনজন ডেস্ক: মৌসুমের শুরুতে বরুশিয়া ডর্টমুন্ড ছেড়ে ম্যানচেস্টার সিটিতে যোগ দেন আর্লিং ব্রট হালান্দ। জার্মান বুন্দেসলিগায় ‘গোলমেশিন’ নাম পাওয়া নরওয়েজিয়ান স্ট্রাইকার ইংলিশ লীগে এসে আরও বিধ্বংসী হয়ে ওঠেন। মৌসুমের শুরুতে প্রায় প্রত্যেক ম্যাচে হালান্দের একাধিক গোলে লন্ডভন্ড হচ্ছিল প্রতিপক্ষরা। তবে সাম্প্রতিককালে হালান্দের তেজ মিইয়ে যায় কিছুটা। গুঞ্জন শুরু হয়, তবে কি ফুরিয়ে গেছেন হালান্দ? আলোচনা-সমালোচনার অধ্যায়ের ইতি টেনে আরও একবার জ্বলে উঠলেন সিটির গোলমেশিন। চ্যাম্পিয়নস লীগের ম্যাচে ম্যান সিটির বড় জয়ে একাই করলেন ৫ গোল। বুধবার ইতিহাস স্টেডিয়ামে শেষ ষোলোর দ্বিতীয় লেগে আরবি লাইপজিগকে ৭-০ গোলে হারায় স্বাগতিকরা। দুই লেগ মিলিয়ে ৮-১ গোলের অগ্রগামিতায় চ্যাম্পিয়নস লীগের কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে সিটি। আর অতিমানবীয় পারফরম্যান্সে রেকর্ডবুকে জায়গা করে নেন আর্লিং হালান্দ। ঘরের মাঠে গোলোৎসবের শুরুটা করেন হালান্দই। ২২তম মিনিটে সফল স্পটকিকে দলকে এগিয়ে নেন নরওয়েজিয়ান স্ট্রাইকার। দুই মিনিট পরই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন হালান্দ। চ্যাম্পিয়নস লীগে নরওয়েজিয়ান তারকার ২৫ ম্যাচে ৩০ নম্বর গোল এটি। প্রতিযোগিতাটিতে তার চেয়ে কম ম্যাচে এই মাইলস্টোন ছুঁতে পারেননি আর কেউ। আগের রেকর্ডটি ছিল সাবেক ডাচ ফরোয়ার্ড রুড ফন নিস্টলরয়ের। চ্যাম্পিয়নস লীগে ৩৪ ম্যাচে ৩০ গোল করেছিলেন তিনি।
প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন হালান্দ। চ্যাম্পিয়নস লীগের ইতিহাসে মাত্র দ্বিতীয় খেলোয়াড় হিসেবে প্রথমার্ধে একাধিক হ্যাটট্রিক করলেন তিনি। হালান্দের প্রথম হ্যাটট্রিক ছিল তার চ্যাম্পিয়নস লীগ অভিষেক ম্যাচে, ২০১৯ সালে সালসবুর্গের হয়ে। চ্যাম্পিয়নস লীগের ইতিহাসে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে প্রথমার্ধে দু’বার হ্যাটট্রিক করেছিলেন সাবেক ইতালিয়ান ফুটবলার মার্কো সিমোনে। ১৯৯৬ সালে এসি মিলানের হয়ে এবং ২০০০ সালে মোনাকোর জার্সিতে এই কৃতিত্ব অর্জন করেছিলেন তিনি। বিরতির পর ৪৯তম মিনিটে স্কোরলাইন ৪-০ করেন সিটির জার্মান মিডফিল্ডার ইলকাই গুনদোয়ান। ৫৩ ও ৫৭তম মিনিটে আরও দু’বার জালের দেখা পান হালান্দ। চলতি মৌসুমে সিটির হয়ে এখন পর্যন্ত ৩৯টি গোল তার। যা এক মৌসুমের সিটির হয়ে সর্বোচ্চ গোল দেয়ার রেকর্ড। আগের রেকর্ডটি ছিল টমি জনসনের। ১৯২৮-২৯ মৌসুমে সিটির জার্সিতে ৩৮ গোল করেছিলেন সাবেক এই ইংলিশ স্ট্রাইকার। এখানেই শেষ নয়, চ্যাম্পিয়নস লীগের ইতিহাসে মাত্র তৃতীয় খেলোয়াড় হিসেবে এক ম্যাচে ৫ গোল করার কীর্তি গড়লেন আর্লিং হালান্দ। ২০১২ সালে বার্সেলোনার জার্সিতে বায়ার লেভারকুসেনের বিপক্ষে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে ৫ গোল করার কীর্তি গড়েছিলেন আর্জেনন্টাইন সুপারস্টার লিওনেল মেসি। ২০১৪ সালে শাখতার দোনেৎস্কের জার্সিতে এই তালিকায় নাম ওঠান ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার লুইস আদ্রিয়ানো।ম্যাচের যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে স্কোরলাইন ৭-০ করেন ম্যান সিটির বেলজিক মিডফিল্ডার কেভিন ডি ব্রুইনা।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct