আপনজন ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গ স্কুল সার্ভিস কমিশন ওএমআর শিটে গরমিল থাকা ৩,৪৭৮ জন গ্রুপ-সি পরীক্ষার্থীর তালিকা তাদের নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে সোমবার। সেই তালিকায় কে প্রকৃত কত নম্বর পেয়েছে ওএমআর শিটে, আর তাকে কত নম্বর বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে সেসব তুলে ধরা হয়েছে নজিরবিহীনভাবে। এর ফলে দুর্নীতির স্পষ্ট অাভাস সামনে আসতে শুরু করেছে। আর তা সামনে আসতেই কার্যত চোখ কপালে ওঠার জোগাড়। কারণ, স্কুল সার্ভিস কমিশন কর্তৃক প্রকাশিত সেই তালিকায় দেখা যাচ্ছে যে ছাত্র পরীকষায় পেয়েছিল শূন্য সে পেয়েছে ৫৮। কেউ আবার শূন্য পাওয়া পরীক্ষার্থী ৫৬-ও পেয়েছে। এসএসসির তালিকা অনুযায়ী মোট ৩ হাজার ৪৭৮ জনের মধ্যে ৩ হাজার ৩০ জনেরই নম্বর দেদার বাড়ানো হয়েছে। ওই পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিয়ে আসলে যা নম্বর পেয়েছেন, তার থেকে অনেক অনেক বেশি নম্বর দেওয়া হয়েছে প্রকাশিত ওএমআর শিটে। আর সেই বেশি নম্বর পাওয়ার দৌলতে চাকরি মিলেছে। যদিও অনেকের নম্বর বাড়েনি।
৮৬ জনের নম্বর ইচ্ছা করে কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। তালিকায় ৩০৩১-৩৩৯২ ক্রমসংখ্যায় যাঁরা রয়েছেন, তাঁদের প্রাপ্ত নম্বর ও ওএমআর নম্বর এক। আবার, তালিকার ৩৩৯৩ থেকে শেষ পর্যন্ত যাঁদের ক্রমসংখ্যা, তাঁদের প্রাপ্ত নম্বর থেকে ওএমআর শিটের নম্বর অনেকটাই কম। আর কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে দুর্নীতির কারণে যে ৮৪২ জনকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দিয়েছিল, তাদেরও নাম রয়েছে ওই তালিকায়। এবার পর্ষদের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়েছে, খুব তাড়াতাড়িই ওই শূন্যপদগুলিতে নিয়োগ শুরু হবে। ওয়েটিং লিস্টে থাকা প্রার্থীদের কাউন্সেলিংয়ের জন্য দিনক্ষণ জানানো হবে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct