সঞ্জীব মল্লিক, বাঁকুড়া, আপনজন: আদালতের নির্দেশে স্কুলে ৮৪২ জন গ্রুপ-সি কর্মীর চাকরী ‘বাতিল’ হয়েছে । ওই তালিকায় ১৯১ নম্বরে নাম রয়েছে বাঁকুড়ার সোনামুখীর ইসবপুর গ্রামের বাসিন্দা নবাসন উচ্চ বিদ্যালয়ে কর্মরত দেবাশীষ রায়ের। তিনি স্থানীয় তৃণমূল কর্মী, প্রাক্তন শিক্ষক পরিমল রায়ের ছেলে। প্রসঙ্গত, দেবাশীষ রায় প্রথমে বড়জোড়ার দধিমুখা হাই স্কুলে কর্মরত ছিলেন। পরে মিউচ্যুয়েল ট্রান্সফারের মাধ্যমে বাড়ির কাছে নবাসন উচ্চ বিদ্যালয়ে যোগ দে । বর্তমানে তিনি সেখানেই কর্মরত ছিলে। এবিষয়ে সোনামুখীর বিধায়ক দিবাকর ঘরামি বলেন, এরকম তৃণমূল নেতাদের অনেক আত্মীয় স্বজনের চাকরী গেছে। চাকরি যাদের যাচ্ছে তাদের উচিৎ কাকে ‘ ঘুষ ‘দিয়ে চাকরি পেয়েছিলেন তা প্রকাশ্যে আনা দরকার । আর সেই নাম এখনই প্রকাশ্যে আসুক বলে তিনি দাবি করেন । নবাসন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক স্বপন কুমার ঘোষ বলেন , সরকারিভাবে ঐ বিষয়ে কোন নির্দেশ তিনি পাননি । তবে শনিবার স্কুল খোলা থাকলেও ঐ কর্মী স্কুলে আসেননি বলে তিনি জানান । ‘চাকরিচ্যুত’ নবাসন উচ্চ বিদ্যালয়ের গ্রুপ-সি কর্মী দেবাশীষ রায় কোন মন্তব্য করতে না চাইলেও তাঁর বাবা পরিমল রায় নিজেকে ‘তৃণমূল কর্মী‘ দাবি করে বলেন, কোথাও কোন টাকা তিনি বা তারা দেননি। এম.বি.এ করা ছেলে দেবাশীষ সরকারি নিয়ম মেনেই চাকরি পেয়েছিল । প্রয়োজনে ও.এম.আর শিট খতিয়ে দেখা হোক। এবিষয়ে তাঁরা এখনই উচ্চ আদালতে যাবেন কিনা ভাবনা চিন্তা করেননি বলে জানান ।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct