আপনজন ডেস্ক: উত্তর প্রদেশের একটি আদালত বৃহস্পতিবার হাথরাস ধর্ষণ-হত্যা মামলায় এক ব্যক্তিকে দোষী সাব্যস্ত করেছে এবং তিনজনকে বেকসুর খালাস দিয়েছে। এসসি-এসটি আদালত প্রধান অভিযুক্ত সন্দীপ সিংকে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৪ ধারায় অনিচ্ছাকৃত হত্যার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করে এবং বাকি তিন অভিযুক্তকে বেকসুর খালাস দেয়। রায়ের পর নির্যাতিতার পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়, তারা এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে যাবেন।২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের হাথরাস জেলার বুলগড়িতে ১৯ বছর বয়সি এক দলিত মহিলাকে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগ। এই মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে একই গ্রামের চার উচ্চ বর্ণের ঠাকুর সন্দীপ (২০), রবি (৩৫), লাভ কুশ (২৩) ও রামু (২৬)। এই চারজনের মধ্যে তিনজনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে এবং সন্দীপকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
গণধর্ষণের পর আহত হয়ে মারা যাওয়া দলিত মেয়েটির মৃতদেহ পরিবারের ইচ্ছার বিরুদ্ধে দাহ করেছে উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন। ইন্ডিয়া টুডের এক সাংবাদিক বুলগড়ি গ্রামের দলিত পরিবার পরিদর্শন করেছে, যারা এখনও ভারী পুলিশি সুরক্ষায় বাস করে। নির্যাতিতার ভগ্নিপতি বলেন, ‘আমরা ন্যায়বিচার পাইনি। শুধু একজন অভিযুক্তকে শাস্তি দিলে আমাদের ন্যায়বিচার হবে না। আমাদের নাম, সম্মান সবকিছু হারিয়ে গেছে। তিনি বলেন, এই রায় ন্যায়বিচারকে হত্যা করেছে। নির্যাতিতার পরিবার এই রায়ের জন্য তাদের জাতিকে দায়ী করেছে। নির্যাতিতার ভাই বলেন, ‘আমাদের জাত অনুযায়ী রায় হয়েছে। ঠাকুর এবং ব্রাহ্মণরা যে কোনও কিছু করতে পারে এবং তারা এখনও এটি থেকে মুক্তি পাবে। ন্যায়বিচার না পাওয়া পর্যন্ত আমরা তার ছাই বিসর্জন দেব না। এই চারজনেরই শাস্তি হওয়া উচিত। আমরা উচ্চ আদালত, এমনকি সুপ্রিম কোর্টেও যাব। তিনি আরও বলেন, গত আড়াই বছরে এই পরিবারের জীবন থমকে গেছে। পরিবারের দু’জনের এখন আর চাকরি নেই। পরিবারটি তাদের দুই সন্তানের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত। শিশুরা স্কুলে যায় না। কে দেবে তাদের নিরাপত্তা? আমরা আমাদের সন্তানদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত।”
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct