মনিরুজ্জামান, বারাসাত, আপনজন: জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষায় আর উত্তীর্ণ হওয়া হল না আলিম (মাধ্যমিক) পরীক্ষার্থী ইরফান আলীর। বৃহস্পতিবার এক মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনার সাক্ষী থাকল উত্তর ২৪ পরগনা বারাসাতের গোলাবাড়ি এলাকা। চলতি পরীক্ষার মধ্যে কয়েকটি দূর্ঘটনা লক্ষ্য করা গেলেও এই নিয়ে দ্বিতীয় কোনও পরীক্ষার্থীর প্রাণ গেল। উল্লেখ্য, হাড়োয়া বিধানসভা এলাকার আমিনপুর সিনিয়র মাদ্রাসার ছাত্র ইরফান আলী (১৭) এবং তার সহপাঠী আমিনুল ইসলাম মোটর সাইকেলে বারাসাত -১ নম্বর ব্লকের উলা কালসারা কাদেরিয়া হাই মাদ্রাসায় পরীক্ষা শেষ করে বাড়ির পথে গোলাবাড়ি বাজারের কাছে উল্টো দিক থেকে আসা এক ইঞ্জিন ভ্যানের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে গুরুতর আহত অবস্থায় বারাসাতের জি এন আর সি মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে এলে ডাক্তাররা ইরফানকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। আমিনুল ইসলাম এবং ভ্যানচালক আসাদুল হক গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন। জানা যায় দেগঙ্গা থানার বাওয়াটি গ্রামের দুজন ছাত্রের এলাকায় যথেষ্ট ভালো ছেলে হিসেবে পরিচিত ছিল। ইরফানের মৃত্যু সংবাদে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে । মৃত ছাত্রের বাবা আলম বাদশা ছেলের মৃত্যু সংবাদ শুনে ভেঙে পড়েছেন। তরতাজা ছেলের অকাল প্রয়াণে শোকাহত বাবা জানান, জীবনের এই অপূরণীয় ক্ষতি মেটানো কোনওদিন সম্ভব না। দূর্ঘটনার খবর পেয়ে হাসপাতালে উপস্থিত হন মাদ্রাসা শিক্ষা পর্ষদের অন্যতম সদস্য তথা উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের বন ও ভূমি স্হায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষ একেএম ফারহাদ, বারাসাত-১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আরসাদ উদ জামান,ডোমা সৌগত মাইতি, প্রশাসনের আধিকারিক ও ডি এল এ সি সদস্য এবং শিক্ষক প্রতিনিধিরা। কর্মাধ্যক্ষ একেএম ফারহাদ জানান, আমিনপুর সিনিয়র মাদ্রাসার আলিম পরীক্ষার্থী ইরফান আলীর মৃত্যু অত্যন্ত দুঃখজনক। ভালো ছাত্রের অকালে চলে যাওয়া মেনে নেওয়া যায় না। সকল শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, কম বয়সী ছেলে-মেয়েদের হাতে কখনোই মোটর সাইকেল তুলে দেওয়া উচিত না। একটু সজাগ হতে হবে সমাজকে। এই ধরনের দূর্ঘটনা রোধ করতে সকলের প্রচেষ্টা অত্যন্ত প্রয়োজন।পরীক্ষার দিনগুলি পুলিশ প্রশাসনের আধিকারিকদের যান নিয়ন্ত্রণে আরো বেশি সদর্থক হওয়ার আহ্বান রাখেন ফারহাদ।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct